বড় পদ দিয়ে মোকাব্বির খানকে পুরস্কৃত করলেন কামাল হোসেন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ মে ২০১৯, ৯:৫৭ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
মোকাব্বির খান। একাদশ সংসদে গণফোরামের এমপি। নানা কারণে আলোচিত-সমালোচিত। এমপির শপথ ঘিরেই তাকে নিয়ে এত আলোচনা। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই নেতাকে জোটের শরিক বিএনপি ‘জাতীয় বেঈমান’ও বলেছিল। শপথ নেয়ার পরে গণফোরাম থেকে মোকাব্বিরকে শোকজ করা হয়।
সেই মোকাব্বির খানকেই গণফোরামের সভাপতি পরিষদ সদস্য করে বড় পদ ‘উপহার’ দিলেন সভাপতি ড. কামাল হোসেন। উপহারই বলতে হবে। কারণ, আগে কখনও দলের কোনো পদেই ছিলেন না সিলেট-২ আসন থেকে হঠাৎ এমপি নির্বাচিত হওয়া মোকাব্বির খান। রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে গণফোরামের নতুন কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়।
সেখানে যথারীতি ড. কামাল হোসেনকেই গণফোরামের সভাপতি রাখা হয়েছে। চমক হিসেবে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে মোস্তফা মহসীন মন্টুকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। সেখানে এসেছেন এই একাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরেই দলে যোগ দেয়া আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এমএস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া।
আর নানা কারণে দলের মধ্যে ‘কোণঠাসা’ মোস্তফা মহসীন মন্টুকে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে। এই কমিটিতে মোকাব্বির খানকে করা হয়েছে ড. কামালের পদের সদস্য। সভাপতি পরিষদের ১৩ সদস্যের মধ্যে তার অবস্থান ষষ্ঠ।
মোকাব্বির খান ছাড়াও গণফোরামে বড় পদ পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রাক্তন তথ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. আবু সাইয়্যিদ। তিনিও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে গণফোরামে যোগ দেন এবং পাবনা থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে হেরে যান।
আবু সাইয়্যিদকে অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীর সঙ্গে দলের কার্যকরি সভাপতি করা হয়েছে। তারা দু’জনই আবার সভাপতি পরিষদের সদস্য। তবে দলের কোনো পদেই রাখা হয়নি একাদশ সংসদে নির্বাচিত গণফোরামের আরেক এমপি আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মাদ মনসুর আহমেদকে। অবশ্য শপথ নেয়ার পর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বিতর্কিত দাবি করে শুরুতেই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি এবং তাদের জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তবে দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রথমে শপথ নেন জোটের শরিক গণফোরামের সুলতান মোহাম্মাদ মনসুর আহমেদ। পরে মোকাব্বির খান।
নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ মুহূর্তে এসে এপ্রিলের শেষদিকে শপথ নিয়েছেন বিএনপির পাঁচ নেতাও। তবে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ নেননি। পরে তার বগুড়া-৬ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।