পরিবহন ধর্মঘটে জিম্মি সিলেটবাসী
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ এপ্রিল ২০১৯, ১২:৪১ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার :
পরিবহন ধর্মঘটে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন সিলেটের সাধারণ মানুষ। ৭ দফা দাবি আদায়ে আজ সোমবার সিলেটে সকাল থেকেই অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব যান বন্ধ থাকায় এক প্রকার জিম্মি হয়ে পড়েছেন সিলেটের মানুষ। বাস স্টেশন থেকে দূরপাল্লা ও জেলা সড়কে সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে দাবি আদায় করার এই হুমকিকে ভালভাবে দেখছে না সাধারণ মানুষ। দূরপাল্লার যানবাহনের পাশাপাশি, সাধারণ যাত্রী পরিবহণগুলো চলাচলেও বাঁধা সৃষ্টি করছেন শ্রমিকরা। কার্যত সিলেটের সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে শ্রমিকরা। এই অবস্থা চলতে থাকলে পণ্যের দরও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সিলেটের রাস্তায় মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। বাস বন্ধ থাকার পাশাপাশি অটোরিকশা চলাচলও বন্ধ রয়েছে। আর এ কারণে মানুষের দুর্ভোগের মাত্রা আরোও বেড়েছে। এদিকে রিকশা ও ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়ে মানুষকে তার প্রয়োজনীয় কাজ সারতে হচ্ছে।
সোমবার সকালে নগরীর বিভিন্নস্থানে চলমান এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী বহনকারী গাড়িও আটকে দেয় শ্রমিকরা। এতে করে পরীক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের ভয়ানক দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। এদের অধিকাংশ রিক্সা ও থ্রি হুইলার বেছে নিয়েছে। আর এই সুযোগে এসব যানবাহন চালকরা আদায় করেছে মোটা অঙ্কের ভাড়া।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলন করে শেরপুরে দুর্ঘটনায় সিকৃবির ছাত্র নিহতের ঘটনায় মৌলভীবাজার থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার ধারা পরিবর্তনসহ ৭টি দাবি তুলে ধরেন তারা।
পরিবহন শ্রমিকদের এ সাত দফা দাবি হচ্ছে- শেরপুরে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার ধারা ৩০২ এর স্থলে ৩০৪ করতে হবে। সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ১০৫ ধারায় জরিমানা পাঁচ লাখ টাকার পরিবর্তে ৫০ হাজার করতে হবে।
এক জেলার গাড়ি অন্য জেলায় রিকুইজিশন করা যাবে না, সড়ক মহাসড়কে চেকিং এর নামে যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে পুলিশি হয়রানি, কথায় কথায় পুলিশ কর্তৃক রং পার্কিং-এর নামে হয়রানি, রেকারিং-এর নামে পুলিশের চাঁদাবাজি ও সেতুতে টোল আদায় বন্ধ করতে হবে।