কালবৈশাখী ঝড়ে কুলাউড়া, কমলগঞ্জের ৭টি ইউনিয়ন লন্ডভন্ড,শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ এপ্রিল ২০১৯, ৭:৩৬ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার:
রোববার দুপুরে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় কমলগঞ্জ উপজেলায় উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড়ে উপজেলার পতনউষার,সমশেরনগর, মুন্সিবাজার ও পৌরসভার এলাকায় দুইশতাধিক ঘর বিধস্ত হয়েছে। উপড়ে পড়েছে হাজারো গাছ পালা। ১১ কেভির ১০০টি স্থানে গাছ ভেঙে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে। কমলগঞ্জ-কুলাউড়া সড়কে শমসেরনগর এয়ারপোর্ট রোডে ব্যাপক পালা গাছ পড়ায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া লাউয়াছড়া পাহাড়ে রেল লাইনের উপর গাছ পড়ায় রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস ও সিলেটগামী আন্তনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন শ্রীমঙ্গল ও কুলাউড়া ষ্টেশনে আটকা পড়েছে। বিদ্যুৎ লাইন লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার করণে বিদ্যুৎহীন ছিল পুরো কমলগঞ্জ। উপজেলার উপর দিয়ে প্রচন্ড কাল বৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। ঝড়ের সাথে ছিল বিকট শব্দের বজ্রপাত।
জানা যায়, ঝড়ে পতনউষার ইউনিয়নে পতনউষার,শ্রীরামপুর,চন্দ্রপুর, ধোপাটিলা, রসুল পুর,বৃন্দাবনপুর, দক্ষিনপল্কীসহ ১০টি গ্রামের বাড়িঘর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাস্তার গাছপালা উপড়ে পড়ে। পতনউষারের বিভিন্ন এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ এর ১১ কেভি লাইন ছিড়ে পড়েছে। এছাড়া পতনউষার গ্রামের আলাল মিয়া, দক্ষিনপল্কী গ্রামের বিধবা মহিলা আগুরী বিবিসহ প্রায় ২০টি ঘর সম্পূর্ণ বিধস্ত হয়। অপরদিকে, একই সময় সমসেরনগর, মুন্সিবাজার ও কমলগঞ্জ পৌরসভায় ঝড়ে প্রায় শতাধিক ঘর সম্পূর্ণসহ শতাধিক বাড়িঘর বিধস্ত হয়। কমলগঞ্জ আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা কলেজে আধাপাকা একাডেমিক ভবনের টিন ছাউনিসহ পৌরসভার ৫, ১, ২ নং ওয়ার্ডের ঘরের টিন উড়িয়ে নিয়েছে। কয়েক শতাধিক গাছ পালা উপড়ে পড়েছে। গ্রাম লের বিদ্যুত এর তার ছিড়ে পড়েছে। ৩টি ইউনিয়নে শতাধিক ঘর আংশিক বিধস্ত হয়েছে।
এছাড়া প্রায় শতাধিক স্থানে বিদ্যুৎ লাইনের তার ছিড়ে পড়েছে। ঝড়ে বেশি গাছপালা বিধস্ত হয়েছে সমসেরনগর এলাকায়। বিমান ঘাটি এলাকার কুলাউড়া সড়কের উপর অধর্শতাধিক গাছ পালা ভেঙ্গে পড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এদিকে বজ্রপাতে এক কৃষকের মহিষ মারা যাওয়ায় ৪০ হাজার টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
পতনউষার ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নারায়ন মলিক সাগর জানান, তার ইউনিয়নে ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। বিধস্ত ঘর হওয়ায় খোলা আকাশে বসবাস করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রীমঙ্গল জোনের উপসহকারী প্রকৌশলী মনির হোসেন ট্রেন আটকা পড়ার বিষয়টি স্বীকার করন
কমলগঞ্জ পলী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মোবারক হোসেন জানান, ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। প্রায় শতাধিক স্থানে তার ছিঁড়ে গেছে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে ১ দিন লেগে যাবে।
।