তীব্র তাপদাহের পর সিলেটে স্বস্তির বৃষ্টি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ এপ্রিল ২০১৯, ১২:৫২ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশজুড়ে বইছে প্রচণ্ড তাপদাহ। টানা কয়েক দিনের তীব্র তাপদাহে হাঁপিয়ে উঠেছিলো জনজীবন। ভ্যাপসা গুমোট আবহাওয়ায় মানুষ কেবল বৃষ্টির কামনায় হাঁটু গাড়ছিল যেন। অবশেষে নেমে এলো স্বস্তির পরশ। সিলেট জেলার বিভিন্ন এলাকায় হয়েছে বৃষ্টি। তাতে জনজীবনে এসেছে স্বস্তির।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও বিশেষ সতর্ক বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়েছিল।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, ঢাকা, মাদারীপুর, রাঙ্গামাটি, নোয়াখালী, ফেনী, রাজশাহী, যশোর, বাগেরহাট ও পটুয়াখালী অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে চলা মৃদু তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে। যার ফলে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পাবে।
এছাড়া ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং কুমিল্লা, খুলনা ও ঢাকা বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কিছু কিছু এলাকায় শিলা বৃষ্টিও হতে পারে।
আবহাওয়ার এক বিশেষ বার্তায় বলা হয়, ভারত মহাসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। যা চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২১০০ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২০২০ কিলোমিটার, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২১০৫ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২০৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা ঝড়ো হাওয়া আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে।
নিম্নচাপের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।