আল্লাহর দোহাই লাগে আমাকে আর কিছু জিজ্ঞেস কইরেন না – মোকাব্বির
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ এপ্রিল ২০১৯, ২:১১ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন আইনি চেম্বার থেকে বের করে দেওয়ার পর দল থেকে পদত্যাগ করবেন কি না, জানতে চাইলে গতকাল শুক্রবার এম মোকাব্বির খান বলেন, ‘আল্লাহর দোহাই লাগে আমাকে আর কিছু জিজ্ঞেস কইরেন না। কোনো উত্তর দিতে পারব না।’
গত মঙ্গলবার সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন সিলেট-২ (বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর) আসন থেকে ফ্রন্টের টিকিটে নির্বাচিত গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান। শপথ নেওয়ার আগে তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, দলের সভাপতি তাকে শপথের বিষয়ে ‘সবুজসংকেত’ দিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলের চেম্বারে গেলে মোকাব্বিরকে ‘গেট আউট লায়ার’ বলে ধমকে তাড়িয়ে দেন ড. কামাল। একই সঙ্গে দলীয় কার্যালয় ও চেম্বার তার জন্য চিরতরে বন্ধ বলেও জানিয়ে দেন গণফোরামপ্রধান। সেখানে উপস্থিত নেতারা জানান, মোকাব্বির খান বেরিয়ে যাওয়ার পর ক্ষোভ প্রকাশ করে ড. কামাল বলেন, ‘প্রতারণা করে তারা এভাবে শপথ নিয়েছেন। এর আগে সুলতান মোহাম্মদ মনসুরও একই কাজ করেছেন।’
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নেওয়ায় মোকাব্বির খানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে এরই মধ্যে জানিয়েছেন গণফোরাম নেতারা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল দলটির নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘আগে তাকে শোকজ করা হবে। এরপর আগামী ২০ এপ্রিল দলের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে তাকে বহিষ্কার করা হবে।’
এদিকে শপথ নেওয়ার আগে নির্বাচনী এলাকার জনগণের দোহাই দিলেও এরপর চারদিন পেরোলেও এলাকায় যাননি মোকাব্বির খান। এ বিষয়ে গতকাল তিনি বলেন, তার মানসিক অবস্থা ভালো নেই। এখনো ঠিক করেননি কবে নাগাদ এলাকায় যাবেন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনে ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন পেয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তাহসিনা রুশদীর লুনা। কিন্তু হাইকোর্ট তার প্রার্থিতা স্থগিত করলে মোকাব্বির খানকে সমর্থন দেয় ফ্রন্ট। গতকাল লুনা বলেন, ‘সমর্থন নেওয়ার জন্য নির্বাচনের আগে আমার ঢাকার বাসায় এসেছিলেন মোকাব্বির খান। তখন আমাকে বলেছিলেন, তিনি ইমানদার। আমাকে বোন ডেকেছিলেন। আমার ছেলেকে ভাগ্নে ডেকেছিলেন। এরপর সবাইকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে নির্বাচনে তার পক্ষে প্রচারে নামানো হয়েছিল।’
শপথ নেওয়ার আগে মোকাব্বির কিছু জানাননি বলেও অভিযোগ করেন লুনা। তিনি আরও বলেন, শপথ নেওয়ার পর তিনি এলাকায়ও যাননি।
সুত্রঃ দেশ রুপান্তর