বঙ্গবন্ধু হত্যা : যা বললেন সুলতান মনসুর
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ আগস্ট ২০১৬, ৭:৩৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মুহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেছেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হবার পর বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আমরা আন্দোলন গড়ে তুলেছিলাম। কারণ, আমরা জানতাম সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধু হত্যা মেনে নেয় নাই। সেই আন্দোলন করতে প্রায় পোনে দুইশ কর্মী নিহত হয়েছেন। কিন্তু পরবর্তী সরকারগুলো তাদেরকে কোন স্বীকৃতি দেয়নি। এমনকি আওয়ামী লীগও দেয়নি। এটা দু:খজনক।
ছাত্রলীগের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘তৎকালীন সরকারের চক্ষুশূল হয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আমরা আস্তানা গেড়েছিলাম। কিন্তু ভারতীয় রাজনীতির পট পরিরবর্তনের পর প্রভাব পড়ে আমাদের ওপরও। পরবর্তীতে এই আন্দোলন এগিয়ে নেয়া যায়নি।
আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংসদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী প্রতিরোধ আন্দোলনের যোদ্ধা হিসেবে আমি যখন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই, তখন সংসদ সদস্য হিসেবে সেই সময়ে নিহতদের জন্য একটি শোক প্রস্তাব উত্থাপন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তৎকালীন নেতৃত্ব আমাকে সেটা করতে দেয়নি। এর ব্যর্থতার দায় সেই সময়ের নেতৃত্বকেই নিতে হবে।’
সুলতান মনসুর বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুগ্ধ হয়েই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে এসেছিলাম। ১৯৬৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু আদর্শই বুকে ধারণ করি। পচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অনেকেই মনে করেছিল, আওয়ামী লীগের রাজনীতি শেষ। তাই অনেকে ভিন্নপথ ধরেছিল। কিন্তু আমি আশাবাদী ছিলাম বলেই বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে প্রতিরোধ আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তর পরবর্তী আওয়ামী লীগের প্রথম বিজয় ছিল আমার হাত ধরেই, যখন আমি ১৯৮৯ সালে ডাকসু নির্বাচনে বিজয়ী হলাম। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমিই সর্বপ্রথম ডাকসু ভবনে বঙ্গবন্ধুর ছবি টানিয়েছিলেন।’