সিলেটের সাথে ভারতের আরও চারটি সীমান্ত হাট হচ্ছে
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ আগস্ট ২০১৬, ৫:০৫ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক :
বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্ত এলাকায় আরও সাতটি সীমান্ত হাট স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। সচিবালয়ে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে সৌজন্য বৈঠকের পর বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
নতুন হাটগুলোর সম্ভাব্য স্থানগুলো হচ্ছে, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ এবং মেঘালয়ের পূর্ব খাসি পাহাড়ের ভোলাগঞ্জ, সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের সায়দাবাদ ও মেঘালয়ের দক্ষিণ পশ্চিম খাসি পাহাড়-সংলগ্ন নালিকাটা, মৌলভীবাজারের জুড়ীর পশ্চিম বটুলী এবং উত্তর ত্রিপুরার পালবস্তী, কমলগঞ্জের কুরমাঘাট ও কামালপুরের ধলাই, ফেনী জেলার ছয়ঘরিয়ার মধ্যবর্তী স্থান এবং দক্ষিণ ত্রিপুরার শ্রীনগরের পূর্ব মধ্যগ্রাম, এবং ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার ভুঁইয়াপাড়া ও মেঘালয়ের দক্ষিণ গারো পাহাড়ের শিববাড়ি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের দুর্গম অঞ্চলে বর্তমানে যে চারটি সীমান্ত হাট রয়েছে, সেগুলো মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। নতুন দুটি হাট স্থাপনের কাজও শেষ পর্যায়ে। এগুলোর বাইরেও দুই দেশের সীমান্তে আরও সাতটি হাট স্থাপন করা হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাটসহ পণ্য রপ্তানিতে কিছু জটিলতা রয়েছে। তা নিরসনে আমরা কথা বলেছি এবং ইতিবাচক সম্মতি পেয়েছি।’ ভারতের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি গত নয় মাসে ৩১ শতাংশ বেড়েছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধে ভারত সব ধরনের সহযোগিতা দেবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের নতুন হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, সীমান্ত হাট উভয় দেশের মানুষের কাছেই জনপ্রিয়। এর মাধ্যমে উভয় দেশের মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা বেড়েছে। ভারতে বাংলাদেশের যেকোনো বিনিয়োগকে স্বাগত জানান তিনি।
বাংলাদেশ ও ত্রিপুরা সীমান্তে এবং বাংলাদেশ ও মেঘালয় সীমান্তে নতুন হাটগুলো হবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
২০১০ সালের ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সীমান্ত হাট পরিচালনার পদ্ধতি বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। এখন পর্যন্ত স্থাপিত হাটগুলো হচ্ছে কুড়িগ্রাম জেলার রাজীবপুর উপজেলার বালিয়ামারী ও ভারতের পশ্চিম গারো হিলের কালাইরচর সীমান্ত, সুনামগঞ্জের ডলোরার ও ভারতের বালাত সীমান্ত, ফেনীর ছাগলনাইয়া ও ভারতের শ্রীনগর সীমান্ত এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার তারাপুর ও পশ্চিম ত্রিপুরার কমলাসাগর সীমান্ত।