চার মাসেও চালু হয়নি কুশিয়ারা নদীর ফেরী
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ আগস্ট ২০১৬, ১০:১৬ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি :
দীর্ঘ ৪মাসেও চালু হয়নি সিলেটের গোলাপগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর ফেরী। ফেরীটি বন্ধ থাকায় বড়লেখা উপজেলায় যাতায়াতে গোলাপগঞ্জ উপজেলার হাজার হাজার লোক ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় চলাচল করছেন।
চলতি বর্ষার শুরুতে নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে সমস্যার কথা বলে সওজ কর্তৃপক্ষ ফেরী সার্ভিস বন্ধ করা হয়। কিন্ত প্রায় ৫মাস অতিবাহিত হলেও তা চালু করা হয়নি এখনো। এতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে নদী পারাপার করছেন। এছাড়া সরকার থেকে খেয়াঘাট ইজারা দেয়া হলেও ইজাদারের কোন নৌকা না থাকায় ছোট ডিঙি নৌকা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খরস্রোতা কুশিয়ারা নদী পারাপার করতে হচ্ছে।
জানা যায়, বিয়ানীবাজার, বড়লেখা ও গোলাপগঞ্জ উপজেলায় যাতায়াতে আমুড়া সড়কটির যোগাযোগ সহজতর হওয়ায় কুশিয়ারা নদীর শিকপুর-বহরগ্রাম ফেরী সার্ভিস অনেকেই ব্যবহার করতেন। প্রতিদিন এ নিয়ে শত শত যানবাহন হাজার হাজার যাত্রী সাধারণ চলাচল করতে দেখা যায়। গত বছর ওই ফেরীঘাটের তিন কিলোমিটার ভাটিতে চন্দরপুর-সুনামপুর ফেরীঘাটে নির্মিত ব্রীজটি চালু হলে শিকপুর-বহরগ্রাম ফেরী সার্ভিসের গুরুত্ব অনেকটা কমে যায়। তারপরও পার্শ্ববর্তী ১০/১৫ টি গ্রামের হাজারও মানুষ সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই ফেরী দিয়েই চলাচল করতেন। এখন ফেরী সার্ভিস আগের মূল্যে ইজারা নিতে কেউ আগ্রহী না থাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ নিজেদের লোকসান দিয়ে তা চালু রাখতে উদ্যোগী নয়।এতে গত ৪মাস থেকে ফেরী সার্ভিস বন্ধ রয়েছে। যানবাহনের পরিবর্তে ছোট ছোট নৌকা দিয়ে নদী পাড়ি দিয়ে হাজারও মানুষ এখন চলাচল করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফেরী সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি জানান, ব্রীজ দিয়ে যানবাহন চলাচল করার পূর্বে ফেরী সার্ভিসের গুরুত্ব খুব বেশী ছিল। সুনামপুর-চন্দরপুর ব্রীজটি গত বছর চালু হওয়ার পর এ ফেরী সার্ভিস দিয়ে যানবাহন চলাচল কমে যাওয়ায় কেউ ফেরীর ইজারা নিতে রাজী নয়। তাই আমরা নিজেরাই ফেরী সার্ভিসটি চালু রাখতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি।