যেভাবে মেজর থেকে জঙ্গি হলেন জিয়া!
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৫৫:৪৮,অপরাহ্ন ০২ আগস্ট ২০১৬
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সেনাবাহিনীতে একটি ব্যর্থ অভ্যুত্থানচেষ্টার পরই ২০১২ সালে আলোচনায় আসেন মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক। অভ্যুত্থানচেষ্টা ব্যর্থ হবার পর থেকেই জিয়ার আর কোনো সন্ধান মেলেনি। জিয়াকে ধরতে সেই সময় পটুয়াখালী শহরের সবুজবাগ এলাকায় জিয়ার শ্বশুর মোখলেছুর রহমানের বাসায় দফায় দফায় অভিযান চালায় পুলিশ। রাজধানীর কয়েকটি স্থানেও জিয়ার খোঁজে চলে অভিযান। কিন্তু আজও জিয়া রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। মেজর জিয়ার শাশুড়ি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা হামিদা বেগম সেই সময় গণমাধ্যমকে জানান, জিয়া পটুয়াখালীর বাসায় কখনো আসেননি।
২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি সেনা সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান কিছু সদস্য দেশের গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত এবং সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিল। ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর এই চক্রান্ত সেনাবাহিনী জানতে পারে। ১৯ জানুয়ারি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়েছিল, এ ঘটনার সঙ্গে সেনাবাহিনীর মধ্যম পর্যায়ের ১৪ থেকে ১৬ কর্মকর্তা জড়িত থাকতে পারেন।
এই অভ্যুত্থানচেষ্টায় বিদেশ থেকে ইন্ধন যোগানো প্রবাসী বাংলাদেশি ইশরাক আহমেদের নামও জানা যায়। ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের তদন্ত দ্রুত শেষ করার জন্য সেই সময় সেনাবাহিনীতে মোট ৬টি তদন্ত আদালত কাজ শুরু করে। একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের তদন্ত আদালত কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সমন্বয়ের কাজে যুক্ত ছিলেন।
লে. কর্নেল পদমর্যাদার কর্মকর্তার নেতৃত্বে ৩ সদস্য করে ঢাকার বাইরে আরও পাঁচটি তদন্ত আদালত তখন গঠন করা হয়েছিল। সেই সময় সেনাবাহিনীর সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মেজর জিয়া হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে জড়িত। তবে আজ মঙ্গলবার পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক এক সংবাদ সম্মেলনে জিয়াকে আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের মাস্টারমাইন্ড বলে উল্লেখ করেছেন।