সিলেট নগরীতে ভাড়াটিয়াদের তালিকা করছে পুলিশ
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৪৭:৫৭,অপরাহ্ন ১৯ জুলাই ২০১৬
সুরমা নিউজ:
অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিলেই বাসার মালিককে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এলাকার বাসা, মেস, কলোনি ও বস্তির বাসিন্দাদের ডাটাবেজ (তথ্যভান্ডার) তৈরি করছে পুলিশ। ভাড়াটিয়াদের তথ্য গোপন করলে দন্ডবিধির আওতায় বাসার মালিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও হুশিয়ারি দিয়েছে মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)। ইতোমধ্যে বাসার মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভাড়াটিয়াদের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম চলছে। ফলে এবার থেকে ভাড়াটিয়ারা কোনো অপরাধ করলে বাসার মালিক দায় এড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন না।
এসএমপি সূত্র জানায়, নগরীর শতাধিক বস্তি ও কলোনি রয়েছে। ছোটখাটো অপরাধ থেকে বড় ধরনের অপরাধও এসব কলোনির বাসিন্দারা করে থাকে। এছাড়া অতীতে দেখা গেছে নগরীতে যেকোনো ধরনের নাশকতার সঙ্গে জড়িতরা বেশিরভাগই বহিরাগত। অনেক সময় পুলিশ বিভিন্ন বস্তিতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, মাদক ও ডাকাতি মামলার আসামিদের গ্রেফতার করেছে। অনেক সময় অপরাধীরা পার পেয়ে গেছে, সেসঙ্গে পার পেয়ে গেছে তাদের বাসার মালিক এবং আশ্রয়দাতারাও। কিন্তু এবার কোনো ধরনের অপরাধের আশ্রয়দাতাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
এসএমপি পুলিশের মূখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রহমত উল্লাহ জানান, দন্ডবিধি অনুযায়ী কোনো অপরাধীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া কিংবা তার অবস্থানের তথ্য গোপনকারী ব্যক্তি ওই অপরাধীর মতোই অপরাধী। সুতরাং প্রচলিত আইনে বাসার মালিকদের গ্রেফতারপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, নগরীর যত বস্তি, কলোনি ও ভাড়াটিয়া বাসার বাসিন্দা রয়েছে তাদের পাশাপাশি বাসার মালিকদেরও তথ্য সংগ্রহ চলছে। আমরা বাসার মালিকদের কাছ থেকে ভাড়াটিয়াদের তথ্য আহ্বান করেছি। পুলিশের লোকজন বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ তথ্য দেওয়ার জন্য বাসার মালিকদের বলে আসছে। ইতোমধ্যে বাসার মালিকরা তাদের ভাড়াটিয়াদের তথ্য পুলিশকে সরবরাহ করছে। সব তথ্য সংগ্রহ শেষে একটি সমৃদ্ধ ডাটাবেজ তৈরি করা হবে।
রহমত উল্লাহ আরও বলেন, প্রত্যেক ভাড়াটিয়ার জাতীয় পরিচয়পত্র, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে নেওয়া নাগরিকত্ব সনদসহ তাদের স্থানী ঠিকানাসহ অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে গ্রেনেড হামলায় জড়িত জঙ্গিদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে বাসার মালিকদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নগরীর বিভিন্ন বস্তি ও কলোনিতে নজরদারি চলছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে-যাতে করে কোনো ধরনের অপরাধী পার পেতে না পারে। শুধু জঙ্গি তৎপরতা নয়, যেকোনো ধরনের অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় যারা দেবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।