কবে হবে সিলেটবাসীর স্বপ্নের চারলেন মহাসড়ক !
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:১৯:৪১,অপরাহ্ন ১৯ জুলাই ২০১৬
সুরমা নিউজ:
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০১৮ সালের মধ্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেন হতে হবে। আর তাই চারলেনের অপেক্ষায় সিলেট বিভাগের চার জেলাসহ মহাসড়কটি ব্যবহারকারী দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলবাসীরা। অপেক্ষা পর্যটকদেরও। এটি ব্যবহার করে দিনে কয়েক হাজার পর্যটক সিলেট বিভাগে শতাধিক পর্যটন স্পটে ঘুরতে যান।
শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারত থেকে বাংলাদেশে পর্যটক আগমন ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে সড়কপথে পর্যটকরা যেতেও মহাসড়কটি একটি গেটওয়ে হিসেবে কাজ করবে বলে অনেকেই মনে করছেন। কারণ, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক এশিয়ান হাইওয়ে ১ ও ২’র রুটভুক্ত। আবার বিমসটেক রোড করিডোর ৩ ও সাসেক হাইওয়ে করিডোর ৫’র রুটভুক্তও এ মহাসড়ক। ফলে অভ্যন্তরীণের পাশাপাশি আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সড়ক নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, চীনাদের হাতেই দেওয়া হচ্ছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেনের কাজ। আগামী সেপ্টেম্বরে চীনা রাষ্ট্রপ্রতির বাংলাদেশ সফরকালে প্রকল্পটি শুরু হলে ১ ভাগ ইন্টারেস্টে তারা এটি করে দেবে। এজন্য সব প্রস্তুতি নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বার বার তাগিদ দিলেও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ গরিমসি করছে।
উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবীদ ড. এম এ মোমেন বলেন, ২০২০ সালে এডিবি যদি শুরু করে তাহলে ২০২৬ সালের আগে রাস্তার কাজ শেষ করতে পারবে না। অথচ চীন ৭ বছর আগে এটা করে দিতে পারবে। মাত্র ৩ বছর পরই চারলেন হয়ে যাবে মহাসড়কটি। তখন পর্যটন ও অর্থনীতি দু’টোই বদলে যাবে সিলেটের। জিডিপি বাড়বে।
চারলেন সড়কের কাজ দ্রুত শুরু করে ২০১৮ সালের মধ্যে শেষ করতে সিলেটসহ চার জেলার সংসদ সদস্যরা নিজেদের মধ্যে মতবিনিময় করেছেন। তাদের মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে দাবিটি জোরালো করতে ভূমিকা রাখছেন অর্থমন্ত্রীর ভাই ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে এম মোমেন।যোগাযোগ করা হলে ড. মোমেন বলেন, চীনারা ১ শতাংশ ইন্টারেস্টে এটা করতে পারে বলে শুনেছি। ২০১৯ সালের মধ্যে রাস্তা হলে ‘ইট উইল বি আওয়ার ক্যাম্পেইন ইস্যু’- উল্লেখ করেন তিনি।
চারলেন প্রকল্প অনুযায়ী, মূল সড়কের পাশাপাশি ধীরগতির যানবাহনের জন্য দুই পাশে পৃথক লেন নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ছোট আকারের ৬০টি সেতু, চারটি ফ্লাইওভার ও ২৭টি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।