সিলেটের ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৪০:০৬,অপরাহ্ন ১৪ জুলাই ২০১৬
সুরমা নিউজ ডেস্ক: শনিবার জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইনের প্রথম রাউন্ড উপলক্ষে শিশুদের ভিটামিন-এ খাওয়ানো হবে। এদিন সারা দেশের মতো সিলেট জেলার ১৩ উপজেলায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত শিশুদের ভিটামিন-এ খাওয়ানো হবে।
সিলেটে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে প্রায় ৫ লক্ষাধিক শিশুকে। বৃহস্পতিবার সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) সচিব বদরুল হক ও সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান পৃথক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। সিসিকের সচিব বদরুল হক বলেন, নগরীর স্থায়ী-অস্থায়ী ২১০টি ও ভ্রাম্যমান কেন্দ্রে ৬৫ হাজার ৯৯ জন শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সিলেট নগরীতে এবার ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের ভিটামিন-এ খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬হাজার ৪শ’ ২২জন, ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা ৫৮ হাজার ২শ’ ৭৫জন, ০৬ থেকে ১১ মাস বয়সী প্রতিবন্ধী শিশুদের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা ৪০ এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রতিবন্ধী শিশুদের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩শ ৬২ জন। মোট কেন্দ্রের মধ্যে নিয়মিত টিকাদান কেন্দ্র রয়েছে ৩০টি, অনিয়মিত ৯৭টি, অতিরিক্ত কেন্দ্র ৬১ ও ২২টি ভ্রাম্যমান কেন্দ্র। এদিন নগরীতে টিকাদান কর্মসূচীতে সহযোগিতা করবেন ৬৩০ জন স্বেচ্ছাসেবী।
এছাড়া জেলার ১২ উপজেলার ৪ লাখ ৪১ হাজার ৮শ’৭৮ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নগরীর চৌহাট্টাস্থ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার ৭শ’ ২২জন ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৯৬হাজার ১শ’৬ জন।
জেলার ১২ উপজেলার স্থায়ী-অস্থায়ী ২ হাজার ৫শ’ ৬৩টি কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচিতে কাজ করবেন ৬ হাজার ৮শ’৬০জন স্বেচ্ছাসেবী । ওইদিন প্রতিটি কেন্দ্রে ৬-১১ মাস বয়সী প্রত্যেক শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। যদি কোন শিশু গত ৪ মাসের মধ্যে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খেয়ে থাকে তাহলে সেই শিশুকে আর ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
এছাড়া কোন শিশুকে আস্ত বা গোটা এই ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ক্যাপসুলের মুখ কাঁচি দিয়ে কেটে ক্যাপসুলের ভিতরের তরল টুকু খাওয়াতে হবে। কান্নারত অবস্থায় বা জোর করে শিশুকে ভিটামিন খাওয়ানো যাবে না বলেও জানান সিভিল সার্জন।