শোলাকিয়ায় হামলা; ২৭ রমজান কিশোরগঞ্জে আসে ‘জঙ্গিরা
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৪৫:৩০,অপরাহ্ন ০৭ জুলাই ২০১৬
সুরমা নিউজ: কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ টার্গেট করে ২৭ রমজান কিশোরগঞ্জে অবস্থান নেয় হামলাকারীরা। কয়েক বার তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে র্যাকি করেও আসে। পূর্বপরিকল্পিভাবেই এই হামলার ছক আঁকে তারা।
পুলিশের হাতে আটক সন্দেহভাজন আহত এক ‘জঙ্গি’ এসব তথ্য দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হামলায় অংশ নেয়া ওই ব্যক্তি নিজের বাড়ি দিনাজপুর উল্লেখ করে বলেছে, ২৭ রোজার দিন তারা কিশোরগঞ্জে আসে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিশোরগঞ্জ পুলিশের একটি সূত্র এ কথা জানিয়েছে। ওই ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য কড়া নিরাপত্তায় ময়মনসিংহে পাঠানো হয়েছে। সুস্থ হওয়ার পর তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে অনেক তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে দাবি ওই সূত্রের।
এদিকে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় হামলাস্থলের কাছে নীল রঙের ঢোলা পাঞ্জাবি ও পায়জামা পরা একজন অল্পবয়সী ছেলের লাশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। পুলিশ বলছে, সে সন্দেহভাজন হামলাকারী। গোলাগুলির মধ্যে পড়ে সে নিহত হয়। তার পোশাকের মধ্যে বিশেষ কায়দায় চাপাতি জাতীয় অস্ত্র রাখার চেম্বার ছিল।
ঘটনাস্থল থেকে আমাদের প্রতিবেদক জানান, ছেলেটির পরনে ঢোলা পায়জামার নিচে চাপা জিনসের একটি প্যান্ট ছিল। জিনসের প্যান্টে কোমর থেকে হাঁটুর ওপর পর্যন্ত বিশেষ চেম্বার বানানো ছিল। ওই চেম্বারে চাপাতি জাতীয় লম্বা অস্ত্র রাখা যায়। পুলিশের ধারণা, হামলার পর পোশাক বদলে হামলাকারীরা সাধারণ জনগণের সঙ্গে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, হামলার পরে হামলাকারীরা আজিমউদ্দীন স্কুলের আশপাশের বিভিন্ন বাড়িতে ঢুকে যায়। তারা পুলিশের ওপর গুলিও চালায়। পুলিশও এ সময় গুলি করে। হামলার সময়ও গোলাগুলি হয়। এ সময় ছেলেটি গুলিতে নিহত হতে পারে।
ঈদের দিন সকালে শোলাকিয়ায় জামাতের আগেই টহলরত পুলিশের ওপর বিস্ফোরক ও গুলি ছুড়ে হামলা চালানো হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এতে দুই পুলিশসহ চারজন নিহত হয়েছেন। নিহত এই ছেলেটিকে হামলাকারী বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। বাকি একজন নারী। তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। হামলাকারীদের হাতে চাপাতি দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।