গ্রীষ্মে সুস্থ থাকার জন্য যেসব খাবার বেশি করে খাবেন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ জুলাই ২০১৬, ৯:০১ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ: গ্রীষ্মকালে শরীরের প্রতি বাড়তি যত্ন নেওয়া চাই। এজন্য প্রয়োজনমাফিক তরল পদার্থ ও প্রচুর রসালো ফলমূল থেকে হবে। এসব ফলমূল দেহকে খরতাপ থেকে রক্ষা করবে। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কিছু খাবারের কথা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
তরমুজ
গ্রীষ্মকালে তরমুজ অত্যন্ত উপকারি একটি ফল। গরমকালে বাজারে পাওয়া যায় রসালো তরমুজ। আর এ তরমুজ আপনাকে যেমন গরমের প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে পারে তেমন তা নানাভাবে আপনার স্বাস্থ্যেরও যত্ন নিতে পারে। বাজারে প্রচলিত তরমুজের মধ্যে কোনোটি সাদা, কোনোটি আবার লাল বর্ণের। এছাড়া রয়েছে সবুজ ও হলুদ বর্ণের তরমুজ। তবে সব তরমুজেরই যথেষ্ট গুণ রয়েছে। তরমুজে রয়েছে ৯০ শতাংশ তরল। আর এ কারণে তা গ্রীষ্মকালে আপনার দেহকে পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা করে। তরমুজে ক্যালরির পরিমাণ কম। আর এ কারণে তরমুজ খেলে পেট ভরে যায় কিন্তু দেহের ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
শশা
জলীয় পদার্থে পূর্ণ আরেকটি সবজির নাম শশা। গরমের প্রকোপ থেকে দেহকে রক্ষা করে এ সবজি। যেকোনো খাবারের সঙ্গে খাওয়া যায়। এটি দেহ থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সহায়তা করে। প্রতি ১০০ গ্রাম শসায় রয়েছে ১০ কিলোক্যালোরি। সালাদের অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ। দেহে পানির অভাব দূর করতে ওস্তাদ, যা গ্রীষ্মকালের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
ধুন্দুল
ধুন্দুলের ৯০ শতাংশ পানি থাকায় ডিহাইড্রেশন দূর করতে এটি দারুণ সহায়ক। প্রতি ১০০ গ্রাম ধুন্দুলে ১৭ কিলোক্যালোরি মেলে। এতে আছে পটাশিয়ামের মতো ইলেকট্রোলাইডস। ফলে গ্রীষ্মকালে এটি খাওয়া হলে
লেটুস
অনেকেরই সালাদে লেটুস ছাড়া চলে না। প্রতি ১০০ গ্রাম লেটুসে রয়েছে ১৫ কিলোক্যালরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোষ্ঠকাঠিন্য যাদের রয়েছে তারা প্রচুর পরিমাণে লেটুস খেলে উপকার পাবেন। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে। এটি গ্রীষ্মকালে প্রচুর পরিমাণে খাওয়া উচিত। এক্ষেত্রে অন্তত দুই বেলা দুই বাটি সালাদের সঙ্গে লেটুস খাওয়ার অভ্যাস করুন। অন্যান্য সবজির সঙ্গে এটি মিশিয়ে সালাদ তৈরি করুন। চাইলে বিভিন্ন মৌসুমি ফল দিয়ে ফলের সালাদও খেতে পারেন। তবে ফ্রুট সালাদ মূল খাবারের সঙ্গে না খেয়ে দুটি বড় খাবারের মধ্যে নাশতা হিসেবে খান।
জলীয় শাকসবজি
কলমীদল শালুক প্রভৃতি যেসব শাকসবজি পানিতে পাওয়া যায় সেসব গ্রীষ্মকালে গরমজনিত নানা সমস্যা সমাধানে খুবই কার্যকর। এক্ষেত্রে ওয়াটারক্রেস নামে একটি বিদেশি সবজিকে উদাহরণ হিসেবে ধরা যায়। গ্রীষ্মকালে এটি সালাদে ব্যবহার করা যেতে পারে।
মূলা
মূলা সাধারণত স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারি। এ মূলজাতীয় সবজিটিতে রয়েছে অল্পমাত্রায় ক্যালরি এবং প্রচুর মাত্রায় জলীয় পদার্থ। এছাড়া এটি ভিটামিন সি, ফাইবার ও পটাসিয়ামের উৎস। পাকস্থলির জন্যও এটি ভালো।
পিচ
পিচ একটি মজাদার ও স্বাস্থ্যকর ফল। এতে কম ক্যালরি ও প্রচুর ফাইবার রয়েছে। এ ফলটিতে ১০টি প্রয়োজনীয় ভিটামিন রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও কয়েক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
রাসবেরি
মিষ্টি ফল রাসবেরিতে রয়েছে প্রচুর জলীয় পদার্থ। এছাড়া এটি ফাইবারেরও উৎস। প্রতি এক কাপ রাসবেরিতে রয়েছে আট গ্রাম ফাইবার। এছাড়া এটি দেহের কোলস্টেরলের মাত্রাও কমাতে সহায়তা করে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, মিনারেল, পটাসিয়াম ও ভিটামিন সি-এর উৎস। এক কাপ রাসবেরিতে রয়েছে মাত্র ৫৪ ক্যালরি। এ কারণে এটি গ্রীষ্মকালে নানা জটিলতা থেকে দেহকে রক্ষা করে।