আত্মগোপনে ইউপি চেয়ারম্যানরা, নাগরিক সেবা ব্যাহত
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ আগস্ট ২০২৪, ৫:০০ অপরাহ্ণ
গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকে মামলা ও হামলার ভয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন সুনামগঞ্জে আওয়ালীগের প্রভাবশালী নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা। ফলে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নাগরিক সেবা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। জেলার বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, শান্তিগঞ্জসহ সব উপজেলায় একই পরিস্থিতি রিবাজ করছে।
অবশ্য কিছু স্থানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও সুনামগঞ্জ জেলা ব্যতিক্রম বলে জানাচ্ছেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা।জেলার সব এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় নেতাকর্মীদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া আছে বলে জানান তাঁরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সমর্থিত এবং তাদের দলীয় পদবিও রয়েছে। ফলে শেখ হাসিনার পদ ও দেশত্যাগের পর থেকেই গাঢাকা দিয়েছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তালুকদার, পলাশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ, সলুকাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরে আলম সিদ্দিকী তপন, ধনপুন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিলন খান।
এ ছাড়া পাঁচটি ইউনিয়নের অনেক ইউপি সদস্যও আত্মগোপনে রয়েছেন। তা ছাড়া অধিকাংশের মোবাইলফোনও বন্ধ রয়েছে। ফলে তাদের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না এবং তাদের বক্তব্য নেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। সলুকাবাদ ইউনিয়নের বাগবের গ্রামের বাসিন্দা জমির আলী জানান, ছেলের জন্ম নিবন্ধনের জন্য ইউপি কার্যালয়ে যান তিনি।
পরিষদ থেকে অনলাইনে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন হলেও চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর প্রয়োজন। চেয়ারম্যান কার্যালয়ে না থাকায় স্বাক্ষর নেওয়া যাচ্ছে না বলে জানান তিনি। একই অবস্থা ধনপুর, পলাশ ও সলুকাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দাদের। জনদুর্ভোগ নিরসনে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের দ্রুত কার্যালয়ে ফেরা বা তাদের দ্রুত বণ্টনের দাবিও জানান ভুক্তভোগী এলাকার বাসিন্দারা।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ জানান, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা পরিষদে না থাকায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেওয়া বিভিন্ন সনদ ও জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের মতো নাগরিক সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।ফলে প্রতিদিন সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এ বিষয়ে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মফিজুর রহমান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের অনুপস্থিততে সরকারের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ওই নির্দেশনা অনুসারে কার্যক্রম পরিচালিত হবে।