সবকিছু সংস্কারের পর দেশে নির্বাচন হবে: ড. ইউনূস
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ আগস্ট ২০২৪, ৫:১৮ অপরাহ্ণ
রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান ও অঙ্গ অকার্যকর হয়ে আছে। এমন অবস্থায় রাষ্ট্রের সার্বিক অরাজকতা সংস্কারের পর নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রতি সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। সবকিছু সংস্কারের পর, সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করেই নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে।’ রবিবার বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
এছাড়াও এদিন প্রথমবারের মতো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাপারে মুখ খুলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেছেন, ‘ক্ষমতায় থাকতে সবকিছু ধ্বংস করেছেন শেখ হাসিনা।’ এসময় সংকটকালীন বাংলাদেশের পাশে থাকায় বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্রের কাছে কৃতজ্ঞ, সংকটকালীন তারা আমাদের সহায়তা করেছে। বর্তমানে একটি চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছি। দুই সপ্তাহ হলো বাংলাদেশে দ্বিতীয় বিপ্লব সাধিত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। অনেকেই দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সাধারণ মানুষের স্বাধীনতার জন্য ছাত্র-জনতা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শত শত মানুষ মারা গেছে, হাজার হাজার মানুষ আহত। আমি আশা করি আপনারা আমাদের সহায়তা করতে পারেন। অনেক শিক্ষার্থী বুলেটের আঘাতে আহত হয়েছেন, অনেকের রাবার বুলেট চোখে লেগেছে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি তরুণদের সম্মান জানাই যারা দেশের জন্য আত্মত্যাগ করেছেন। গণতান্ত্রিক মত প্রকাশের জন্য তারা এই আত্মত্যাগ করেছেন। বৈষম্যহীন, বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ চায় তরুণ সমাজ। আমি দেশের দায়িত্ব নিয়েছি, তবে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। বিচার বিভাগ ভেঙে পড়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে, পাতানো নির্বাচন করা হয়েছে। ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে তরুণ সমাজ বেড়ে উঠেছে। রাজনৈতিক প্রভাবে ব্যাংক ডাকাতি হয়েছে।’
এদিন দুপুর পৌনে ১টার পর রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে বিদেশি কূটনীতিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন প্রধান উপদেষ্টা। ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারসহ জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা এই ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।