এটিএম বুথগুলোও টাকা শূন্য: ওসমানীনগরে গ্রাহকের কাঙ্খিত টাকা দিতে পারছে না ব্যাংক
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ আগস্ট ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
ওসমানীনগর প্রতিনিধি:
সিলেটের ওসমানীনগরে বেশ কয়েক দিন ধরে ব্যাংকে সঞ্চিত টাকা থেকে কাঙ্খিত পরিমাণ টাকা উত্তোলন করতে না পেরে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা। এক লাখ টাকা উত্তোলন করতে চাইলে ৩০-৪০ হাজার টাকা নিতে বলছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে ব্যাংকারদের সাথে গ্রাহকদের বাকবিতন্ডার ঘটনাও ঘটছে। নিরাপত্তা জনিত কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা আনতে না পারায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা। শুধু ব্যাংক নয় গত এক সপ্তাহের অধিক সময় ধরে এটিএমবুথগুলোও রয়েছে টাকা শূন্য।
জানা যায়, গত এক সপ্তাহের অধিক সময় ধরে ব্যাংকে গিয়ে কাঙ্খিত পরিমাণ টাকা উত্তোলন করতে না পেরে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা। যেকোন পরিমাণের টাকা উত্তোলন করতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার কাঙ্খিত পরিমাণ টাকার অর্ধেকের কম নিতে বলছে। এতে ব্যাংকের ক্যাশে থাকা কর্মকর্তাদের সাথে প্রতিনিয়ত বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে আসছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রবাসি অধ্যুসিত এই উপজেলার ’ব্যাংকের শহর খ্যাত’ গোয়ালাবাজারে রয়েছে গ্রামীন ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের ১৯টি শাখা। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সসহ ব্যবসা ও ব্যক্তিগত একাউন্টে প্রতিদিন ব্যাংকগুলোতে কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হয়ে থাকে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রায় ৫০ হাজার গ্রাহক রয়েছে ইসলামি ব্যাংকের। ছাত্রদের সংস্কার আন্দোলনের শেষের দিকে নিরাপত্তা জনিত কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোতে টাকা আসা বন্ধ হয়ে যায়। এর পর থেকে গ্রাহকের জমা দেয়া টাকা দিয়েই লেনদেন কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে।
শুধু ব্যাংক নয়, ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারসহ হাটবাজারে বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ রয়েছে। কিন্তু এক সপ্তাহের অধিক সময় ধরে বুথগুলোতেও টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে টাকার জন্য ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা।
গতকাল অন্তবর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাজনিত কারণে ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ দুই লাখ তুলতে পারবেন বলে একটি আদেশ জারি করা হয়। কিন্তু ব্যাংকে নগদ টাকা না আসায় এই পরিমাণ টাকা দিতে পারছে না ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
গতকাল সরেজমিন গোয়ালাবাজারের ইসলামি ব্যাংকের শাখায় গিয়ে দেখা যায়, কানাইঘাট উপজেলা থেকে আসা ব্যবাসায়ি গিয়াস উদ্দিন ক্যাশিয়ারের সাথে বাকবিতন্ডা করছেন। এসময় তার সাথে কথা হলে তিনি জানান ব্যাংক থেকে এক লাখ টাকা তুলতে চাচ্ছি কিন্তু আমাকে ৫০ হাজার টাকা নিতে বলছে।
উছমানপুরের কাজী হেলাল বলেন, রেমিট্যান্সের টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে দেখি প্রত্যেক গ্রাহক টাকা প্রাপ্তিতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
ইসলামি ব্যাংক গোয়ালাবাজার শাখার ম্যানাজার মুহাম্মদ মাছউদুর রহমান বলেন, গত ৫ আগস্ট থেকে নিরাপত্তা জনিত কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা না আসায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে কোন গ্রাহক মেডিকেল ও বিয়ে জনিত কাজে টাকা নিতে আসলে কাঙ্খিত পরিমাণ টাকা দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।