গত ১০ বছর কোনো ন্যায়বিচার হয়নি: প্রধান বিচারপতি
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ আগস্ট ২০২৪, ৮:০৫ অপরাহ্ণ
গত ১০ বছর কোনো ন্যায়বিচার হয়নি বলে মন্তব্য করে নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, আমরা এখন ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে আছি।
ছাত্র জনতার সীমাহীন আত্মত্যাগ, মহাজাগরণ ও অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করবো।
সোমবার (১২ আগস্ট) আপিল বিভাগে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট বারের পক্ষ থেকে সংবর্ধনার জবাবে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, এখন থেকে কোনো ধরনের অন্যায় হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ছাত্র-জনতার সীমাহীন আত্মত্যাগের মাধ্যমে যে বিজয় এসেছে, তার প্রতি সম্মান রেখে আমি সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবো।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, নিম্ন আদালতের বিচারকদের ভয়-ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করতে হবে। যারা গুম-খুনের শিকার হয়েছে তারা ন্যায়বিচারের জন্য তাকিয়ে আছে। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে আপিল বিভাগে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১০ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাবেক প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর আখ্যায়িত দিয়ে তার পদত্যাগের সময় বেঁধে দিয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ঘেরাও করে। তারা দাবি জানায় আপিল বিভাগের সকল বিচাপতির পদত্যাগেরও। আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে পদত্যাগ করেন ওবায়দুল হাসান ও আপিল বিভাগের বিচারপতিরা। এরপর ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয় মো. আশফাকুল ইসলামকে। আন্দোলনকারীরা তাকেও প্রত্যাখ্যান করে সৈয়দ রেফাত আহমেদের নাম প্রস্তাব করে আল্টিমেটাম দেয়। এরপর তাদের আল্টিমেটামের মুখে সৈয়দ রেফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।