আগে দেশের মানুষ ইলিশ খাবে, পরে রপ্তানি: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ আগস্ট ২০২৪, ১০:২৩ অপরাহ্ণ
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘দেশের মানুষ ইলিশ খেতে পারবে না, বিদেশে রপ্তানি হবে, এটা হতে পারে না। আগে দেশকে গুরুত্ব দিতে হবে। তারপর রপ্তানির চিন্তা।’
রবিবার (১১ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে প্রথম কর্মদিবসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
দুধ, ডিমের মতো পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘করতে হবে। পারব কি না, সেটা পরের কথা। কিন্তু আমার দায়িত্ব হলো দাম কমানো। এখানে অনেক সিন্ডিকেট আছে অনেক লেভেলে। পণ্য যেখানে উৎপাদন হচ্ছে, সেখান থেকে বাজার পর্যন্ত আসতে গিয়ে অনেক জায়গায় পয়সা দিতে হয়। যেটা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। সেসব জায়গায় একটা মন্ত্রণালয় একা কাজ করতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে সবাই মিলে কাজ করতে হবে। এসব বিশেষ খাদ্যের দাম বাড়তে দেওয়া যাবে না। আমি আরও আলোচনা করব, কোথায় কোথায় সমস্যা আছে এবং সেখানে গিয়ে অবশ্যই দাম কমাতে চাই।’
ফরিদা আখতার বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নাম যদি ইলিশ মন্ত্রণালয় হতো আমি আপত্তি করতাম না। কারণ ইলিশ একটা বিশেষ মাছ। যেটা একমাত্র বাংলাদেশেই হয়। এটা রপ্তানির চেয়েও বেশি আমাদের চেষ্টা করতে হবে, দেশের মানুষ যেন ইলিশ মাছটা পায়। ইলিশের দামটা অহেতুকভাবে বাড়ানো কোনোমতেই যুক্তিসঙ্গত নয়। দেশের মানুষকে না খাইয়ে ইলিশ বাইরে পাঠানো আমি কোনোমতেই অনুমোদন করি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের মাছ, গরু-ছাগলের যে প্রজাতি আছে তা বিশ্বে উল্লেখযোগ্য। এই মন্ত্রণালয়ে কাজের যে সুযোগ রয়েছে, সেদিকে মনোযোগ দেব। অনিয়মের কোনো সুযোগ রাখা উচিত হবে না। আমরা সেটা অবশ্যই দেখব। কিন্তু প্রথম কাজ হলো, একদম গ্রাম পর্যায়ে বা মাঠ পর্যায়ে যে অফিসগুলো আছে, আমি সেখানে যাব। সেখানে যে সমস্যাগুলো আছে, সেগুলো চিহ্নিত করব।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রথম কাজ হচ্ছে মানসম্মত খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে সব খাদ্যপণ্য ভেজালমুক্ত করতে হবে।’