সিলেটে কবরস্থানে ডেকে নিয়ে বন্ধুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ জুন ২০২৪, ৮:১৬ অপরাহ্ণ
সিলেট নগরীর হযরত মানিকপীর (রহ.) কবরস্থানে এক যুবককে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। কারা কি জন্য তাকে হত্যা করেছে, সে বিষয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত যুবকের নাম আবুল হাসান সাবিল (২৬)। তিনি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার আব্দুল হান্নান শিমুলের ছেলে। সাবিল নগরীর সাপ্লাই এলাকায় বসবাস করতেন। তার মামার সঙ্গে পণ্য ডেলিভারির কাজ করতেন বলে জানিয়েছেন কোতেয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন শিপন।
এ ঘটনায় সাবিলের বন্ধু শাহিন আহম্মদ (১৯) কে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আটক করেছে পুলিশ। শাহিন স্থানীয়দের কাছে সাবিলকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানা গেছে।
মানিকপীর টিলা কবরস্থানের নিরাপত্তাকর্মীরা জানিয়েছেন, কবরস্থানে আসা এক ব্যক্তি তথ্য পেয়ে তারা টিলার উপরে গিয়ে লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। এর আগে সেখানে মারামারি করেন দুই যুবক। ঘটনাস্থলে কুরিয়ার সাভিস ‘পাঠাও’ কাজে ব্যবহৃত সাইকেল ও একটি মোবাইল ফোন পড়ে ছিল।
সাবিলের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সকালে সাবিলকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায় শাহিন। সাবিলের মরদেহ উদ্ধারের পর স্থানীয়রা ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এসময় তাকে পুলিশের ভয় দেখানো হয়। একপর্যায়ে সাবিলকে হত্যার কথা স্বীকার করে শাহিন।
শাহিনের বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানান, সকালে বাসা থেকে ডেকে নেওয়ার পর সাবিলের কাছে পাঠাওয়ে একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়ার আবদার করে শাহিন। এসময় সাবিল তাকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেয়। এরপর সাবিলকে মানিকপীর কবরস্থানের টিলায় নিয়ে যায় শাহিন। এসময় সাবিলের কাছে থাকা পাঠাওয়ের পণ্য ও নগদ অর্থ নিয়ে যাওয়ার জন্য তাকে ছুরিকাঘাত করে শাহিন। একপর্যায়ে সাবিল সব টাকা দিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিলেও মন গলেনি শাহিনের। ছুরিকাঘাতে সাবিলের মৃত্যু নিশ্চিত করে সে পালিয়ে যায়।
এরপর স্থানীয়রা শাহিনকে পুলিশের কোছে হস্তান্তর করেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, পাঠাও কুরিয়ারে কাজ করা আবুল হাসান সাবিলের সাথে মাঝে মধ্যে ডেলিভারিতে সাহায্য করতো শাহিন। বৃহস্পতিবার সাবিলের কাছে টাকা চাইলে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সাবিলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে সেখান থেকে পালিয়ে যায় শাহিন।
তিনি বলেন, শাহিনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। আর সাবিলের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।