হবিগঞ্জে বাউলশিল্পী রাজিয়ার প্রতারণার ফাঁদ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুন ২০২৪, ১১:২৯ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্কঃ
হবিগঞ্জের মাধবপুরে কথিত এক বাউলশিল্পীর ব্ল্যাকমেইল ও অভিনব কায়দা প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগও দেয়া হয়েছে। কথিত ওই বাউলশিল্পীর নাম রাজিয়া সরকার। উপজেলা জগদীশপুর ইউপির উত্তর সন্তোষপুর গ্রামে তার বাড়ি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই শিল্পী প্রথমে এলাকার বিশিষ্ট লোকজন ও যুবকদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তাদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। মোবাইলে রোমান্টিক বা আপত্তিকর কথাবার্তা রেকর্ড করে। পরে সেসব কথাবার্তা ফেসবুক ও বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করার ভয় দেখিয়ে আদায় করেন মোটা অঙ্কের টাকা। আবার কাউকে তাদের অভিভাবকদের কাছে ওই সব রেকর্ড দেখানোর হুমকি দিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় তার বিকাশ অ্যাকাউন্ট নম্বরে। সূত্র জানায়, তার মায়ের নাম সখিনা বেগম। তার ব্ল্যাকমেইল ও আপত্তিকর কথাবার্তার কিছু রেকর্ডিংও প্রতিনিধির কাছে রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজিয়ার ব্ল্যাকমেইল ও প্রতারণার শিকার এক ভুক্তভোগী জানান, সে আমার নম্বর প্রথমে নিয়েছিল। প্রায় সময় আমাকে ফোনে গান শোনাতো।
বিজ্ঞাপন
আমিও কিছু আবেগি কথাবার্তা তার সঙ্গে বলি। কিন্তু সে কথাগুলো রেকর্ড রেখে এখন আমাকে ব্ল্যাকমেইল করছে। বিকাশে টাকা চাইছে, না দিলে এগুলো ফেসবুকে ছেড়ে দিবে। আমি ৫০ হাজারের মতো টাকা তাকে দিয়েছি। কিছু তার বিকাশে, কিছু হাতে হাতে। কিন্তু সে এখন ১ লাখ টাকা দাবি করছে। পরে জানলাম সে বহু মানুষের সঙ্গে এভাবে প্রতারণা করে যাচ্ছে। এলাকার একাধিক যুবক ওই নারীর অভিনব প্রতারণার বিষয়ে প্রতিনিধির কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।
মাধবপুরের শিল্পকলা একাডেমির সমন্বয়কারী লিটন রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রাজিয়া সরকার নামে কোনো বাউলশিল্পী রয়েছে বলে আমার জানা নেই। বাউল পরিচয়ে কেউ প্রতারণা করলে একে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন বলে তিনি মতামত দেন।
জগদীশপুর ইউনিয়নের আনসার কমান্ডার করিম মিয়া জানান, রাজিয়ার কর্মকাণ্ড সন্দেহজনক। সে শিল্পী নয় বরং শিল্পীদের বদনাম। বিষয়টির যথাযথ তদন্ত প্রয়োজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজিয়া জানান, এসব তার ভক্তরা তাকে পাঠায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থান থেকে। কিন্তু ভক্তরা কোন জায়গার এ বিষয়ে জিজ্ঞাস করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন।সুত্র-মানবজমিন