হত্যার পর এমপি আনারের হাড় ও মাংস আলাদা করে হলুদের গুঁড়ো মেশানো হয়
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মে ২০২৪, ৭:৪৬ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্কঃ
বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে খুন করার পরে যে ‘কসাই’ তার দেহ টুকরো করেছিল বলে অভিযোগ, তাকে কলকাতায় গ্রেফতার করেছে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি। শুক্রবার জিহাদ হাওলাদার নামের ওই আসামির ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে বারাসাতের আদালত।
রিমান্ড মঞ্জুরের পর শুক্রবার দুপুর থেকে জিহাদ হাওলাদারকে নিয়ে পুলিশ নিহত এমপির দেহাংশের খোঁজে পোলেরহাট থানার জিরানগাছা এলাকার বিভিন্ন স্পটে তল্লাসি চালায়। তবে এখনও কিছু না-পাওয়া যাওয়ায় এদিনের মতো অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, কাল শনিবার সকালে তা আবার শুরু হবে।
সতকর্তা: এই সংবাদ অনেকের উপর মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে।
সিআইডি-র এক শীর্ষ কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন জিহাদ হাওলাদার নামে ওই ব্যক্তি বাংলাদেশি নাগরিক এবং তিনি অবৈধভাবে ভারতের মুম্বাইতে বাস করতেন। তার আদি বাসস্থান বাংলাদেশের খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানার অন্তর্গত বারাকপুরে।
এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আখতারুজ্জামান দুমাস আগে জিহাদকে কলকাতায় নিয়ে এসেছিল।
বৃহস্পতিবার জিহাদকে আটক করে একটানা জেরা করা হয়। তারা নিহত আনোয়ারুল আজীমের দেহ কলকাতা সংলগ্ন কোন এলাকায় ফেলে দিয়ে থাকতে পারে, সেটা জানার চেষ্টা করা হয়।
নিহত এমপির দেহাংশের খোঁজে সিআইডি বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতা পুলিশ এলাকার অন্তর্গত পোলেরহাট থানার কৃষ্ণবাটি সেতুর কাছে বাগজোলা খালে তল্লাশি চালায়। নিউ টাউন এলাকার যে ফ্ল্যাটে মি. আজীমকে খুন করা হয়, সেই আবাসিক কমপ্লেক্সের সামনে দিয়েই এই খালটি বয়ে গেছে।
তবে সেখানে কিছু পাওয়া যায়নি বলেই সিআইডি জানিয়েছে।
শুক্রবার সকালে কাপড় দিয়ে জিহাদ হাওলাদারের মুখ ঢেকে তাকে বারাসাতের আদালতে নিয়ে যায় সিআইডি।
দুপুরে তার ১২ দিনের সিআইডি রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।