সিলেটে মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের আর্তনাদ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২:৩৪ পূর্বাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টারঃ
সারাদেশের ন্যায় সিলেটেও যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে পবিত্র লাইলাতুল কদর। লাইলাতুল কদর মুসলমানদের কাছে শবে কদর নামেও পরিচিত।
শনিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকেই সিলেটের মসজিদগুলোতে চলছে ওয়াজ, জিকির, মিলাদসহ প্রার্থনা। প্রতিটি মসজিদে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের কান্নার আওয়াজে ভারী হয়ে উঠেছে। অতীত জীবনে গুনা মাফ, অনাগত দিনগুলোর মঙ্গল কামনা করে কান্নাভেজা কন্ঠে মোনাজাত করছেন মুসল্লিরা।
মুসলমানরা মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ আদায়, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির, ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলসহ অতীতের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করছেন।
সিলেটের বিভিন্ন মসজিদের পাশাপাশি সিলেট শাহজালাল (র:) দরগাহ প্রাঙ্গণেও বিশেষ প্রার্থনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। এসময় দেশের মঙ্গল কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয়।
আরবি শব্দ ‘লাইলাতুল’ অর্থ রাত এবং ‘কদর’ শব্দের অর্থ মর্যাদা। অর্থাৎ লাইলাতুল কদর অর্থ মহিমান্বিত রাত। ইসলাম ধর্ম অনুসারে, লাইলাতুল কদর মানুষের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনে। এই রাতে মানবজাতির ভাগ্য পুনর্নির্ধারিত হয়। এ কারণে লাইলাতুল কদরের রাত অত্যন্ত পুণ্যময়। এই রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও অধিক পূণ্যের। লাইলাতুল কদর রমজান মাসের শেষের ১০ রোজাত মধ্যে যেকোনো দিন হতে পারে। তাই মুসলমানরা শেষ ১০ দিনের বিজোড় দিনে লাইলাতুলকদর তালাশ করে ইবাদত বন্দেগী তে মশগুল থাকেন। তবে ২৬ রমজান রাতকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে এ রাতেই ইবাদত বন্দেগীতে মশগুল থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
২৬ রমজান দিবাগত রাতটি লাইলাতুল কদর হওয়ার ব্যাপারে ইসলামি চিন্তাবিদদের বড় অংশের মত পাওয়া যায়।