নগদ টাকা নাই শমসেরের, নাহিদের আছে ২৮৯৬
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ৫:৪৬ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্কঃ
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬ জন প্রার্থী। পাঁচটি দলের প্রার্থীসহ আছেন একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
প্রার্থীদের মধ্যে শিক্ষায় এগিয়ে রয়েছেন ইসলামী ঐক্যজোটের মিনার প্রতীকের প্রার্থী সাদিকুর রহমান। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা মাস্টার্স সমমান।
অপর প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী সেলিম উদ্দিনের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসসি অনার্স। তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকে প্রতীকের প্রার্থী শমসের মুবিন চৌধুরীর শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ।
প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অপর দুই প্রার্থী ছড়ি প্রতীকের বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট) দলের প্রার্থী আতাউর রহমান ও ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা সরওয়ার হোসেন হলফানায় নিজেদের দাবি করেছেন স্বশিক্ষিত।
শিক্ষায় পিছিয়ে থাকলেও নির্বাচনী হলফনামায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেনের হাতে নগদ টাকা বেশি রয়েছে। তার হাতে আছে ১০ লাখ টাকা। সাদিকুর রহমানের নগদ আছে ৫ লাখ, সেলিম উদ্দিনের ১ লাখ, আতাউর রহমানের ১০ হাজার, নুরুল ইসলাম নাহিদের ২ হাজার ৮৮৬ টাকা। অন্য প্রার্থীদের হাতে টাকা নগদ টাকা থাকলেও শমসের মুবিন চৌধুরীর হাতে নগদ কোন টাকা নাই, হলফনামায় তিনি এমনটাই উল্লেখ করেছেন।
প্রার্থীদের স্ত্রীদের হাতে নগদ কোন টাকা নাই। তবে কারো কারো স্ত্রী রয়েছে স্বর্ণ। সরওয়ার হোসেনের স্ত্রীর রয়েছ ৪ লাখ টাকার, সাদিকুর রহমানের স্ত্রীর ২ ভরি স্বর্ণ দেড় লাখ টাকার, সেলিম উদ্দিনের স্ত্রীর ৭৫ হাজার টাকার, আতাউর রহমানের স্ত্রীর হাতে রয়েছে ৫ ভরি স্বর্ণ, যার মূল্য তিনি উল্লেখ করেছেন ৫ লাখ টাকা। শমসের মুবিন চৌধুরী ও নুরুল ইসলাম নাহিদের স্ত্রীর স্বর্ণ নেই।
অস্থাবর সম্পদের মধ্যে সরওয়ার হোসেনের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রয়েছে ২১ লাখ ৮৪ হাজার ৪৪৪ টাকা, গাড়ির মূল্য ৪২ লাখ, ইলেকট্রোনিক সামগ্রী আছে ৪৫ হাজার ৫০০ টাকার, ২ লাখ টাকার আসবাবপত্র এবং অন্যান্য শর্টগান ও ৩২বার পিস্তলের দাম দেখিয়েছেন ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।
সাদিকুর রহমানের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা কোন টাকা নাই। ইলেকট্রোনিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র আছে ২ লাখ টাকার।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নুরুল ইসলাম নাহিদের জমা আছে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩১ টাকা, গাড়ি আছে ৬১ লাখ ২৫ লাখ ৪০৫ টাকার, স্বর্ণ আছে ৭৫ হাজার টাকার এবং আসবাবপত্র আছে ৪৫ হাজার টাকার।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সেলিম উদ্দিনের জমা আছে ২ লাখ ৫০ হাজার ৮৫৬ টাকা, ৪৫ হাজার মূল্যমানের টিভি ও ফ্রিজ আছে, ফার্নিচার আছে আড়াই লাখ টাক্র এবং ১ লাখ ৬০ হাজার ৬০০ টাকা মূল্যের পিস্তল রয়েছে।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে শমসের মুবিন চৌধুরী জমা আছে ১ কোটি ৭৭ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৫ টাকা, ১ কোটি টাকা মূল্যমানের বন্ড, ৮ কোটি টাকার পোস্টাল-সেভিংস সার্টিফিকেট, ৫০ হাজার টাকা মূল্যমানের স্বর্ণ এবং ৪ লাখ টাকার ইলেকট্রোনিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র রয়েছে।
আতাউর রহমানের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৩ লাখ টাকা, একটি জিপ গাড়ি রয়েছে, এবং ইলেকট্রোনিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র রয়েছে ২ লাখ টাকার।
আতাউর রহমানের পেশা বেসরকারি চাকুরি যুক্তরাজ্য, শমসের মুবিন চৌধুরী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, সেলিম উদ্দিন হলিল্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেড ও ওয়েসিস হাসপাতাল লিমিটেডের পরিচালক, নুরুল ইসলাম নাহিদ পেশা হিসেবে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন সংসদ সদস্য, সাদিকুর রহমান একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, এবং সরওয়ার হোসেনের পেশা ব্যবসা ও অন্যান্য।
ব্যবসা থেকে আতাউর রহমানের আয় সাড়ে ৪ লাখ টাকা; শমসের মুবিন চৌধুরীর শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে আয় ৮ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৬ টাকা; সেলিম উদ্দিন কৃষিখাত থেকে ৪০ হাজার টাকা এবং ভাড়া থেকে আয় করে থাকেন১ লাখ ৭৬ হাজার টাকা; নুরুল ইসলাম নাহিদ কৃষিখাত থেকে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৭২০ টাকা, ভাড়া থেকে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে ৩০ লাখ টাকা, চাকুরি/সম্মানী ভাতা থেকে ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং অন্যান্য পরিসম্পদ থেকে ৭ লাখ ২৬ হাজার ৩৯৩ টাকা; সাদিকুর রহমান কৃষিখাত থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, চাকুরি থেকে ১ লাখ ২০ টাকা এবং প্রবাস থেকে বার্ষিক ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা; এবং সরওয়ার হোসেন ভাড়া থেকে ২ লাখ ৮৮ হাজার ৭৫০ টাকা আয় করে থাকেন।
নির্বাচনের ৬ প্রার্থীর মধ্যে ৪ জনেরই বাড়ি বিয়ানীবাজার উপজেলায়, সাদিকুর রহমানের বাড়ি গোলাপগঞ্জ উপজেলায়, এবং অপর প্রার্থী শমসের মুবিন চৌধুরীর তার বর্তমান ঠিকানা সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকা উল্লেখ করেছেন।
নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি ব্যালট পেপারে হবে ভোটগ্রহণ।