বিয়ানীবাজারে চালু হলনা বর্ডার হাট
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৫২ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ প্রতিবেদক: বিয়ানীবাজারের মুড়িয়ায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সকল প্র্রস্তুতি নেয়ার পরও চালু হয়নি সিলেট জেলার তৃতীয় সীমান্ত হাট (বর্ডার হাট)।
এ লক্ষ্যে সব ধরনের প্রশাসনিক কাজ সম্পন্ন করার পরও হাটটি কেন চালু হয়নি, তার উত্তর নেই কারো কাছে। বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফসানা তাসলিম জানান, সকল সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু এরপর হাটটি আর চালু হয়নি।
সীমান্ত হাট স্থাপন নিয়ে গত কয়েক বছর থেকে মুড়িয়া এলাকায় সীমান্ত পিলার মেইন পিলারের (১৩৬৩-১৩৬৪) মধ্যবর্তী নো-ম্যানস ল্যান্ডে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০২০ সালে অনুষ্ঠিত একটি সভায় বাংলাদেশের দলের পক্ষে সিলেটের তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল কালাম নেতৃত্ব দেন।
অন্যদিকে ভারতের করিমগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সীমান্ত হাটের ক্রেতা-বিক্রেতাকে বর্ডার হাটে ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য জেলা প্রশাসন থেকে পরিচিত কার্ড ইস্যু করা কথা ছিল, হাটে প্রবেশের জন্য উভয় দেশের দুই দিকে দুটি গেইট রাখার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। ওয়াচ টাওয়ার, পাবলিক টয়লেট ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে উভয়দেশ ঐক্যমতে পৌছায়। সীমান্ত হাটের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কিছুটা কাজও শুরু করে।
সীমান্ত হাটে কাপড়, সাবান, মসলা, বাচ্চাদের জিনিসপত্র, গৃহস্থালি নানা জিনিসপত্র, তেল, ঘি, মশার কয়েল, প্লাস্টিক জাতীয় টেবিল-চেয়ার, সিরামিকস, কসমেটিকস সামগ্রী বিক্রি করার কথা ছিল।
সিলেটের জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সীমান্ত হাট স্থাপনের জন্য নো-ম্যানস ল্যান্ডে এক একর ১৭ শতক জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে উভয় দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় সিলেট জেলার তৃতীয় সীমান্ত হাট চালু করার দাপ্তরিক সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
বিয়ানীবাজার সীমান্তে উভয় দেশের (১৩৬৩-১৩৬৪) মেইন পিলারের পাশে সীমান্ত বাজার স্থাপনের লক্ষ্যে প্রশাসনিক পর্যায়ে সব ধরনের কাজও বৈঠকে সম্পন্ন করা হয়েছিল। সীমান্ত হাটের যাবতীয় ফাইল চূড়ান্তভাবে বাণিজ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলেও জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও ভারতের সর্বোচ্চ ৫০ জন করে মোট ১০০ জন ব্যবসায়ী সীমান্ত হাটে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন বলে প্রশাসনিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সপ্তাহের রবি ও বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে সীমান্ত হাটের কার্যক্রম চলমান থাকার কথা ছিল।