পেঁয়াজের দামে ফের সেঞ্চুরি, ঝাঁঝে চোখ জ্বলছে ক্রেতার
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ অক্টোবর ২০২৩, ৯:০৪ অপরাহ্ণ
এক দিনের ব্যবধানে কেজিতে আরও পাঁচ টাকা বেড়ে সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। খুচরা ব্যবসায়ীরা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। তাদের দাবি, পাইকারি পর্যায়ে তিন-চার দিন ধরে দাম বেড়েছে।
গত ১৯ আগস্ট পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ভারত সরকারের ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের খবরে হু হু করে দাম বাড়ে এই নিত্যপণ্যের। অস্বাভাবিক দর বেড়ে শতক ছুঁয়েছিল দেশি পেঁয়াজ।
ভারতীয় পেঁয়াজের কেজিও ৮০ টাকায় পৌঁছায়। ১৩ সেপ্টেম্বর দেশি পেঁয়াজের দর ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা বেঁধে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ওই সময় পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ ৩৩ থেকে ৪১ টাকা বিবেচনায় পাইকারিতে ৫৩ টাকা এবং খুচরায় সর্বোচ্চ ৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এ দর কার্যকর করতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রতিদিনই বাজারে অভিযান চালাচ্ছে। জরিমানা করছে লাখ লাখ টাকা। তবুও নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না পেঁয়াজ।
শুক্রবার মগবাজার, মোহাম্মদপুর, বনানী ডিএনসিসি কাঁচাবাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে জানা যায়, দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়; যা সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে ৩১ থেকে ৩৫ টাকা বেশি। গত বৃহস্পতিবার এই পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি ভারতীয় পেঁয়াজের দামও চড়া। আমদানি করা এ পেঁয়াজের কেজি কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, এক বছরের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১১৩ শতাংশ, আর আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১১৪ শতাংশ।
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ-রসুন ব্যবসায়ী রবিউল আলম সমকালকে বলেন, এক সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের বাজার গরম। খুচরা ব্যবসায়ীরা কেজিতে এখন ৫ টাকার বেশি লাভ করতে পারেন না।
এদিকে, বেঁধে দেওয়া পেঁয়াজের দাম কার্যকর করা সম্ভব হয়নি বলে স্বীকার করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। শুক্রবার রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ‘আমরা যে টার্গেট নির্ধারণ করেছিলাম, তা অ্যাচিভ (অর্জন) করা যায়নি। তারপরও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে মন্ত্রণালয় থেকে বেঁধে দেওয়া পণ্যের দাম কার্যকর করা যায়।’