আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের বেঁধে দেয়া দাম কতটা কার্যকর হলো সিলেটের বাজারে?
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:২৩:৫৩,অপরাহ্ন ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
আলু-পেঁয়াজ ও ডিম— এ তিনটি পণ্যের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বেঁধে দিয়েছে সরকার। গত বৃহস্পতিবার এ দাম নির্ধারণ হলেও শনিবারেও তা বাজারে কার্যকর হয়নি। যদিও দাম ওইদিন থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
এদিকে সরকারের এ সিদ্ধান্তে উষ্মা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হলেও পাইকারি বাজারে পণ্যগুলো কতো দামে বিক্রি হবে তা নির্ধারণ হয়নি। ফলে পাইকারিতে দাম কমেনি। বেশি দামে পণ্য কেনা থাকায় খুচরা বিক্রেতারা সরকার নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি করতে পারছেন না।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সোবহানিঘাট কাঁচা বাজার, রিকাবীবাজার এলাকার কয়েকটি বাজার ও পাড়া মহল্লার দোকান ঘুরে দেখা গেছে আগের চিত্র, সরকার নির্ধারিত দামে পণ্য তিনটি পেঁয়াজ, ডিম ও আলু আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম কমেনি। ফলে তাদের পক্ষে এখনই সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করা সম্ভব না।
সরকার নির্ধারিত দামে খুচরা বাজারে প্রতিটি ডিমের দাম ১২ টাকা, আলুর দাম প্রতিকেজি ৩৫-৩৬ টাকা এবং পেঁয়াজের দাম ৬৪-৬৫ টাকা হওয়ার কথা। তবে বাজারে প্রতি হালি ডিম আগের মতো ৫০-৫২ টাকা অর্থাৎ প্রতিটি সাড়ে ১২-১৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি সাদা আলু ৫০ টাকা এবং লাল আলু ৫৫ টাকাই রয়ে গেছে। কমেনি পেঁয়াজের দামও। ভারতের আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬৫-৭০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৭৫-৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রি করছেন না কেন— এমন প্রশ্নে রিকাবীবাজারের রহিম উদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ী বললেন, পাইকারি বাজারে দাম এক টাকাও কমেনি। ১০০ ডিমের দাম দোকানে এনে খরচ হয় এক হাজার ২২০ টাকার বেশি। তার মানে একেকটা ডিমের দাম ১২ টাকা ২০ পয়সা। তাহলে কীভাবে ১২ টাকায় ডিম বিক্রি করবো? আমরা গরিব মানুষ। লোকসান দিয়ে বিক্রি করলে সংসার কি সরকার চালাবে? আড়তে দাম বেশি থাকার পরও যদি আমাদের কম দামে পণ্য বিক্রিতে বাধ্য করে, তাহলে দোকান বন্ধ ছাড়া উপায় থাকবে না।
একি প্রশ্নে অন্যান্য বিক্রেতাদের অজুহাতের শেষ নেই। কয়েকজন বিক্রেতা আবার বলছেন, তারা না কি বেঁধে দেওয়া দামের বিষয়টি জানেন-ই না। তবে অধিকাংশরা বলছেন, বেঁধে দেওয়া দাম কার্যকর হতে কিছুটা সময় লাগবে। আগে কমাতে হবে পাইকারিতে।
এদিকে শনিবার থেকে সারাদেশে তিনটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য এবং সঙ্গে স্যালাইনের দাম স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ভোক্তা অধিদপ্তর অভিযান চালাছে বলে জানা গেছে।