মাধবপুরে বসতঘর বিক্রি করে সৌদি যাওয়া সোফিয়া দেশে ফিরলেন লাশ হয়ে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৮:১৭ অপরাহ্ণ
মাধবপুর প্রতিনিধি::
হবিগঞ্জে মাধবপুরে সুফিয়া খাতুন (৪৫) দালালের খপ্পরে বসতঘর বিক্রি করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে গৃহকর্মীর কাজ করতে গিয়ে কফিন বন্ধি লাশ এলো দেশে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, মাধবপুর পৌরশহরের পূর্ব মাধবপুর এলাকার তিতন আলী সরদারের বাড়িতে দীর্ঘ ৩৫ বছর যাবত সুফিয়া খাতুন ও তার স্বামী জামাল মিয়া বসবাস করত। তার স্বামী জামাল মিয়া ৫,৬ বছর আগে মারা যয়। পরে দালালের খপ্পরে পড়ে সুফিয়া খাতুন তার বসতঘর বিক্রি করে অভাব অনটনে সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে গত রমজান মাসে সৌদি আরবে গৃহকর্মী কাজ করতে গিয়েছিলেন । কিন্তু সংসারে অভাব ঘোচানো দূরের কথা। আজ বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কফিনে বন্ধি লাশ হয়ে দেশে ফিরল সুফিয়া বেগম(৪৫)।
সোফিয়া খাতুনের বড় ছেলে জাকির হোসেন জানান, তার পিতা মারা যাবার পর তারা ৫ ভাই বোন সংসারে অভাব অনটন দেখা দেয়। পরিবারে সুখ-শান্তি ফিরিয়ে আনতে তার মা সৌদি আরবে যাওয়া সিদ্ধান্ত নেন। উপজেলার সুন্দাদিল গ্রামের দালাল ফিরোজ মিয়া ও মালু মিয়ার মাধ্যমে সুফিয়াকে সৌদি আরব পাঠানো হয়। সৌদি আরব যাবার পর সুফিয়া উপর বাড়ির মালিক বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন শুরু করে। মৃত্যুর আগে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ফোনে অনেক আকুতি জানায়। কিন্তু গত ৪ মাস আগে তারা শুনতে পায় মা সুফিয়া বেগম সৌদি আরব মারা গেছেন। লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে দালাল সঙ্গে যোগাযোগ করে। কিন্তু দালাল চক্রের তাদের কোন সহযোগিতা করেনি। বৃহস্পতিবার সকালে সৌদি আরব থেকে সুফিয়ার মৃত দেহ দেশে ফিরিয়ে আনার পর বাড়িতে তার ছেলে মেয়েরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। জাকির হোসেন বলেন পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে তার মা সুফিয়াকে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রকিবুল ইসলাম খান জানান, সুফিয়ার লাশ দেশে আসার ঘটনাটি তার ছেলে জানিয়েছেন। মাধবপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার মনজুর আহসান জানান, সৌদি আরবে মৃত্যুজনিত কারণে আর্থিক অনুদান ও ক্ষতিপূরণ যাতে পায় সরকারিভাবে সবধরনে সহযোগিতা করা হবে।