মৌলভীবাজারে জমি লিখে না দেয়ায় বৃদ্ধা মাকে মারধর, ছেলে ও পুত্রবধূ কারাগারে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ জুলাই ২০২৩, ৫:৫১ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি::
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৃদ্ধ মাকে ভরণপোষণ না দেয়া, মায়ের পৈত্রিক সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় মারধর ও হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার অভিযোগে ছেলে ও পুত্রবধুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক মাকে নির্যাতনকারী ছেলে বদরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী হাজেরা বেগমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বদরুল ইসলাম বড়লেখার সুজানগর ইউনিয়নের বড়থল (আদর্শগ্রাম) গ্রামের ছফির উদ্দিনের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বৃদ্ধা মা রাবিয়া বেগমের পৈত্রিক সম্পত্তি (ফরায়েজ) লিখে দিতে রাজি না হওয়ায় ছেলে বদরুল ইসলাম, তার স্ত্রী হাজেরা বেগম ও শ্যালক আব্দুর রহিম বৃদ্ধাকে নানাভাবে নির্যাতন চালাচ্ছিল।
এর জের ধরে চলিত বছরের ১৯ জানুয়ারী বদরুল ইসলাম স্ত্রী ও শ্যালককে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাবিয়া বেগমকে কুপ দিলে তিনি রক্তাক্ত জখম হন। এসময় বৃদ্ধাকে বাঁচাতে অপর ছেলে ও প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসলে তারা তাদের উপর চড়াও হয় এবং তাদের সাথে থাকা মোবাইল ফোন ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় চিকিৎসা শেষে বৃদ্ধা রাবিয়া বেগম ছেলে বদরুল ইসলাম, তার স্ত্রী হাজেরা বেগম ও শ্যালক আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে ২২ জানুয়ারী আদালতে মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।
বুধবার (২৬ জুলাই) রাতে পুলিশ বদরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। অপরদিকে বদরুল ইসলামের স্ত্রী হাজেরা বেগম আদালতে আত্মসমর্পন করলে বিজ্ঞ আদালত স্বামী-স্ত্রী দু’জনকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারি (ভারপ্রাপ্ত) হুমায়ুন কবির জানান, বৃদ্ধা মায়ের মামলায় গ্রেফতার পুত্র ও আত্মসমর্পনকারী পুত্রবধুকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।