আখাউড়ায় বিদ্যালয়ের সামনে ইট ভাঙায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ জুলাই ২০২৩, ১১:২৩ অপরাহ্ণ
আখাউড়া প্রতিনিধি ::
আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েল গেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণ এবং আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনের উন্নয়ন কাজে ব্যবহারের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে বিশাল জায়গা জুরে ইট ভেঙ্গে সুরকি করা হচ্ছে। বছর খানেক আগে স্কুলের সামনের পুকুরটি ভরাট করে সেখানে ইট ভাঙ্গার কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ইট ভাঙ্গা হয়। এসব ইটের কনা, ধুলাবালি, বাতাসে মিশে বাতাসকে দূষিত করছে। এসব দূষিত বাতাস নিঃশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করছে শিক্ষার্থীরা। ধুলাবালি জমছে শ্রেণী কক্ষের চেয়ার টেবিলে।
ছাত্রছাত্রীদের কাপড়—চোপড় ময়লা হচ্ছে। এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পড়ালেখা করছে বিদ্যালয়ের প্রায় ১ হাজার ছাত্রছাত্রী। বিদ্যালয়ের সামনে ইট ভাঙ্গা বন্ধ করার দাবী জানিয়েছেন শিক্ষক—শিক্ষার্থীরা। এ ব্যপারে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এবং রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
সরজমিনে রেলওয়ে স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, পৌরশহরের রেলওয়ে কুমার পাড়া এলাকায় বিদ্যালয় মাঠের সামনে খোলা জায়গায় মেশিন দিয়ে ইট ভাঙ্গার কাজ চলছে। শ্রমিকরা ইট ভেঙ্গে সুরকি করে স্তুপ আকারে রাখছে। ইট ভাঙ্গার সময় ভাঙ্গা ইটের কনা, ধুলাবালি বাতাসে উড়চে। পাশের রাস্তা দিয়ে পথচারীসহ ছাত্রছাত্রীরা হাত দিয়ে নাক—মুখ ঢেকে যাতায়াত করছে। বিদ্যালয়ের মাঠে এবং বাড়ান্দায় ধুলাবালু জমে আছে।
এ ব্যপারে রেলওয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ আসাদুজ্জামান খান বলেন, ধুলাবালির কারণে ছাত্রছাত্রীদের খুব অসুবিধা হচ্ছে। মেয়েদের বমি বমি ভাব হয়। তাদের মাথা ব্যথা ঘুরায়। ক্লাশ রুমে বসে থাকা দূর্বিষহ হয়ে পড়েছে। শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। বিষয়টি ঠিকাদারের লোকজনকে বলার পরও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তিনি ইট ভাঙ্গা বন্ধ করার দাবী জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হিমেল খান বলেন, ধুলিকানা বাতাসে মিশে বায়ুদুষণ হচ্ছে। নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা এসব দুষিত বাতাস গ্রহণ করছে। এতে ফুসফুস জনিত প্রদাহ, শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ হতে পারে। অনেকের ধুলাবালুতে এলার্জি থাকে। তাদের হাঁচি—কাশি হতে পারে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে আখাউড়া—লাকসাম ডুয়েল গেজ ডাবল রেল লাইন প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন উপ—সহকারী প্রকৌশলী (ওয়ার্কস) মোঃ আব্দুল্লাহ বলেন, ছাত্রছাত্রীদের অসুবিধার হওয়ার বিষয়টি আমি আপনার মাধ্যমে জানলাম। আমি সরজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।