বালাগঞ্জে সামাজিক বনায়ন কর্মকর্তার নির্দেশে অফিসে কাঠমিস্ত্রির বসবাস!
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ জুলাই ২০২৩, ৬:৪৮ অপরাহ্ণ
বালাগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার বন কর্মকর্তা মো. মখলেছুর রহমান নির্দেশে সামাজিক বনায়ন অফিসে বসবাস করেন স্থানীয় এক কাঠমিস্ত্রি। চলতি বছরের শুরুতে দুই-এক মাস দেখা গেলেও পরে মাসের পর মাস অফিস বন্ধ থাকে দুই-একদিন ছাড়া। বন কর্মকর্তার কক্ষে দেখা যায় একটি ছোট খাট, জামা কাপড়, কাঠমিস্ত্রি কাজে ব্যবহৃত উপকরণ ইত্যাদি। একটা চেয়ার বা টেবিলও নেই অফিস কক্ষে। বন কর্মকর্তা নিজ ইচ্ছে মতো অফিসে আসেন। এদিকে নার্সারি শূন্য বালাগঞ্জ উপজেলা। ২০০৪ সালে সিলেট বন বিভাগের আওতায় বালাগঞ্জে নার্সারি শুরু হয়। কয়েক বছর মোটামুটি টিকটাক মতো চললেও এখন আর দেখাও মেলেনা গাছ নার্সারির। সরকারের বছরে বেশ কয়েকবার গাছ লাগানোর কার্যক্রম থাকলেও উপজেলার নার্সারির গাছের কোনো পাত্তা মিলে না। বাইরে থেকে গাছ কিনে আনতে হয়।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দরকারে ফোন দিলে বালাগঞ্জে আসেন বন কর্মকর্তা, এ ছাড়া বালাগঞ্জে আসেন না। বিষয়টি স্বীকারও করেন বন কর্মকর্তা। বলেন, আমার অফিস জরাজীর্ণ। বালাগঞ্জ আসলে আমি চেয়ারম্যান ও ইউএনও স্যারের রুমে অফিস করি।
উপরোক্ত বিষয়ে বালাগঞ্জ উপজেলার সামাজিক বন কর্মকর্তা মো. মখলেছুর রহমান বলেন, আমার অফিসে বসার জায়গা নেই। দরকার হলে আসি। লিখিত ভাবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাইনি, মৌখিক ভাবে বার বার বলছি। অফিসে কিছু নেই কিছু কাগজ পত্র ছাড়া। চেয়ার টেবিলের বরাদ্দ নেই। কাঠমিস্ত্রি থাকার বিষয়ে বলেন, লোক নেই আমার অফিসে তাই তাকে রাখছি, তার জামা-কাপড় সরাতে বলবো। আমাকে কোনো বাজেট দেয়া হয়নি বন নার্সারি করার জন্য। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে জানানোর বিষয়ে বলেন, ইউএনও’কে কেনো জানাবো। উনি তো আমার ডিপার্টমেন্টের না।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলাম না, ছবি এখন দেখেছি। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।
সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ তৌফিকুল ইসলাম জানান, জনবলের সংকট রয়েছে। তবে এভাবে অফিসকে বসবাস ঘর বানানো টিক হয়নি। বিষয়টি দ্রুত দেখার আশ্বস্থ করেন তিনি। আগামী বছর বালাগঞ্জে নার্সারিতে বরাদ্দ দেওয়ার চেষ্টা করবো।