ডেঙ্গুতে শ্রাবণীর মৃত্যু, মা-ভাইও শঙ্কামুক্ত নন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ জুলাই ২০২৩, ১০:২৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্কঃ
চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে শ্রাবণী সরকার (১১)। মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় নগরীর সেন্ট স্কলাস্টিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এ ছাত্রীর মৃত্যু হয়। মেয়ের মৃত্যুশোকের মধ্যেই সিইপিজেডের কারখানায় কর্মরত বিশ্বজিৎ সরকারের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। কারণ তার স্ত্রী বিটু সরকার এবং একমাত্র ছেলে সদীপ সরকারও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নগরের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানতে চাইলে ম্যাক্স হাসপাতালের পরিচালক লিয়াকত আলী সমকালকে বলেন, ‘মা ও ছেলের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে এখনও শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না। বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে, আরও করতে হবে। তাদের সুস্থ করতে সাধ্যমতো সব চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’
স্ত্রী ও এক ছেলে-মেয়ে নিয়ে নগরীর সদরঘাট থানার পোস্ট অফিস গলিতে বসবাস করেন বিশ্বজিৎ সরকার। তাদের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায়। ছেলে সরকারি কমার্স কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র।
মেয়েকে হারানোর পর এখন স্ত্রী-ছেলেকে নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছেন বিশ্বজিৎ। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘কি দুর্ভাগ্য আমার! মেয়েটা ঠিকভাবে চিকিৎসা করানোর সুযোগও দিল না। আমাদের ছেড়ে চলে গেল। স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়েও অজানা শঙ্কা ভর করেছে।’
জানা গেছে, তিন দিন জ্বরে আক্রান্ত থাকার পর ৩ জুলাই চিকিৎসকের পরামর্শে শ্রাবণী ও তার ভাই সদীপের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরদিন তাদের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় রেখে চলতে থাকে চিকিৎসা। এরইমধ্যে মঙ্গলবার সকালে শ্রাবণীর জ্বর কমে আসে। তবে বিকেলে হঠাৎ পেট ফুলে যায়। রাত ৮টার দিকে কাপুনি শুরু হলে হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা দেখার কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে শ্রাবণী। রাতেই শ্রাবণীর মরদেহ বলুয়ারদিঘী মহাশ্মশানে দাহ করা হয়।
মেয়ের শেষকৃত্যের পরই বিশ্বজিৎ জানতে পারেন, তার স্ত্রীও ডেঙ্গু পজিটিভ। এরপর বুধবার স্ত্রী ও ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করেন বিশ্বজিৎ সরকার।