সিলেটে রাত পোহালেই ভোটের লড়াই, কে হাসবে শেষ হাসি?
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জুন ২০২৩, ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাত পোহালেই অনুষ্ঠিত হবে সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় শেষ দিন পর্যন্ত মাঠে ব্যস্থ সময় পার করেছেন প্রার্থীরা। কেউ কাউকে ছাড়তে দিতে রাজি নন। তাই ছুটে চলেছিলেন নির্বাচনী এলাকার একপ্রান্ত থেকে আরকে প্রান্তে। বাসা-বাড়ি পাড়া-মহল্লায় গিয়ে সুখ, দুঃখের গল্প শুনেছেন ভোটারদের। যে যেভাবে পেরেছেন সেইভাবে ভোটরদের মন জয় করতে চেয়েছেন। কে কতটা ভোটরদের মন জয় করতে পেরেছেন। তার প্রমাণের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আর মাত্র কয়েক ঘন্টা।
মেয়র পদে নির্বাচনে ৮ জন প্রার্থী থাকলে প্রচারণায় সরব ছিলেন নৌকা আর লাঙলের প্রার্থীই। প্রচারণায় আওয়ামী লীগ ও জাতীয়পার্টির কেন্দ্রীয় নেতাদের ভিড় লেগেই ছিলো। দল বেঁধে জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামানের পক্ষে এবং জাপা’র নেতারা প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলের পক্ষে ঝড় তুলেছেন। আওয়ামীলীগের নেতারা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে স্থানীয় সমস্যা সমাধানেরও আশ্বাস দিয়েছেন। যেকোনো মূল্যে নির্বাচনী ফসল ঘরে তুলতে তারা বদ্ধপরিকর। আনোয়ারুজ্জামানের পক্ষে প্রচারণা চালাতে কেন্দ্রীয় নেতারা সিলেটমুখী হওয়ায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের ব্যস্ততাও বেড়ে গেছে। প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, প্রচার-প্রচারণায় উৎসবমুখর পরিবেশ ও কেন্দ্রীয় নেতাদের দৌড়ঝাঁপের ঘাটতি নেই। মাঠে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়েও তেমন প্রশ্ন ওঠেনি এখনো। কিন্তু শেষ মুহূর্তের বড় প্রশ্ন ভোটাররা কেন্দ্রে যাবে কি-না। কারণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন অনেক কেন্দ্রেই আছে পানি তার উপর বৈরী আবহাওয়া, তাই কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতিটা কম হওয়ার আশংকা করছেন সবাই।
অপরদিকে, প্রচারণা শেষ। মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইতিমধ্যে ভোটগ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। ভোটকেন্দ্রগুলোতে ১৭৪৭টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে ঢাকা থেকে নির্বাচনী কেন্দ্রগুলো সার্বক্ষণিক সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করবে নির্বাচন কমিশন। সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এসএমপি কমিশনার মো. ইলিয়াছ শরিফ বলেছেন, নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে একজন পুলিশ পরিদর্শক, উপ-পুলিশ পরিদর্শক একজন ও পাঁচজন পুলিশ সদস্য এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডে একজন পুলিশ পরিদর্শক, একজন উপ-পুলিশ পরিদর্শক ও চারজন পুলিশ সদস্য এবং সাতজন নারী ও সাতজন পুরুষসহ মোট ১৪ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি জানান, নির্বাচন উপলক্ষে প্রতি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে পুলিশের ৪২টি মোবাইল টিম, প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে ১৪টি স্ট্র্রাইকিং টিম এবং প্রতি থানায় একটি করে ছয়টি ও ছয়টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং টিম থাকবে। পাশাপাশি থাকবে দু’টি ওয়ার্ডে একটি করে র্যাবের মোট ২২টি ও পাঁচটি ওয়ার্ডে এক প্লাটুন করে মোট ১০ প্লাটুন বিজিবি’র টহল।
নির্বাচনে মেয়রপদে ৮ জন যাদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা) নির্বাচন বর্জন করেছেন, এছাড়াও কাউন্সিলর পদে ৩৫৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যাদের মধ্যে ২৭২ জন সাধারণ ওয়ার্ডে এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (নারী কাউন্সিলর) ৮৭ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।