সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, বিপৎসীমা ছাড়াল সুরমার পানি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ জুন ২০২৩, ১১:০৩ অপরাহ্ণ
টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নিম্নাঞ্চলে প্লাবিত হয়েছে। জেলার প্রধান দুই নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সুরমার নদীর পানি গতকাল শনিবার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও রোববার সকালে কিছুটা কমে আসছিল। পরে ভারি বর্ষণের কারণে ফের বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যায়। একই সঙ্গে বাড়ছে কুশিয়ারা নদীর পানিও। তবে এ নদীর পানি এখনও বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যায়নি।
এদিকে, পানি বৃদ্ধির সঙ্গে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। রোববার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৪৪ দশমিক শূন্য ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে সিলেট আবহাওয়া অফিস। এর আগে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে। এরইমধ্যে জেলার জকিগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নতুন করে কিছু কিছু এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হচ্ছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, রোববার দুপুর পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২ দশমিক ৬৯ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে গতকাল ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার উচ্চতা দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার। সেখানে ১১ দশমিক ৫১ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। সারি নদীর সারীঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১৮ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা গেছে, গতকাল সকাল ৬টা থেকে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ২৪ ঘণ্টায় ৯২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৪৪ দশমিক ২ মিলিমিটার এবং সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৩৬ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, সিলেটে আরও কয়েক দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টির পানি বাড়তর থাকলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।