সিসিক নির্বাচনে এবার একসঙ্গে দুই ভাই !
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ জুন ২০২৩, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ
সিলেট সিটি নির্বাচনে স্বামী-স্ত্রীর প্রার্থী হওয়ার পর এবার আপন দুই ভাইয়ের প্রার্থীতার বিষয়টি নজর কেড়েছে নগরবাসীর। তবে একই ওয়ার্ডে নয় তারা প্রার্থীতা করছেন পাশাপাশি কিন্তু আলাদা দুই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে।
মো. বাবুল খান ও মোহাম্মদ রানা আহমেদ আপন দুই ভাই। একজন সিলেট নগরের পূর্ব পাঠানটুলার বাসিন্দা, অন্যজন শ্রাবণী এলাকার। পাশাপাশি হলেও এলাকা দুটি পড়েছে সিটি করপোরেশনের ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রয়াত মো. আলী আকবর ও মণি বেগমের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। ছেলেদের মধ্যে বাবুল খান মেজ এবং রানা আহমেদ (শিপলু) ছোট। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে শ্রাবণী এলাকার বাসিন্দা বাবুল এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পূর্ব পাঠানটুলা এলাকার বাসিন্দা রানা।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নগরের ৪২টি ওয়ার্ডে ২৮৭ জন প্রার্থী সাধারণ আসনে কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে নয়জন এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন প্রার্থী হয়েছেন। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্য প্রার্থীরা হচ্ছেন বর্তমান কাউন্সিলর মো. ইলিয়াছুর রহমান, সুমন ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান (আবির), ফয়জুল হক, সাব্বির খান, বিদ্যুৎ দাস, জগদীশ চন্দ্র দাশ ও সুদীপ রঞ্জন দেব। এ ছাড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডের অপর প্রার্থী হচ্ছেন বর্তমান কাউন্সিলর মো. মখলিছুর রহমান (কামরান)।
এদিকে বড় ভাই বাবুল খান নগরের বৃহত্তর মদিনা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
তিনি জানান ব্যবসায়ীসহ ওয়ার্ডের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অনুরোধে প্রার্থী হয়েছেন। দুই ভাই পৃথক দুটি ওয়ার্ডে প্রার্থী হওয়ায় আলাদাভাবে তাঁরা নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত থাকবেন। তাই কেউ কাউকেই নির্বাচনী প্রচারণায় সহযোগিতা করতে পারবেন না, এটাই আক্ষেপ থাকবে।
অপরদিকে ছোট ভাই মোহাম্মদ রানা আহমেদ স্থানীয়ভাবে যুবলীগ কর্মী হিসেবে পরিচিত।
তিনি জানান, তাঁদের ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত উন্নয়নকাজ হয়নি। তাই ওয়ার্ডের অগ্রগতিও আশানুরূপ হয়নি। এ অবস্থায় কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি মনস্থির করে কয়েক বছর ধরে কাজ করছেন। নির্বাচিত হলে আদর্শ ওয়ার্ড গঠনে ভূমিকা রাখতে চান।
দুই ভাইয়ের প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে রানা আহমেদ বলেন, ‘এটাকে দুর্ভাগ্য, নাকি সৌভাগ্য বলব? তবে দুই ভাইয়ের প্রার্থী হওয়া সমস্যা নয়। এলাকাবাসীর অনুরোধে নিজেদের অবস্থান অনুযায়ীই আমরা প্রার্থী হয়েছি। কেবল একটাই দুঃখ, নিজেদের প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে এক ভাই আরেক ভাইয়ের প্রচারণায় অংশ নিতে পারব না।’