সুনামগঞ্জ হাসপাতালে সিন্ডিকেট : স্টোরকিপারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৩০:২১,অপরাহ্ন ০২ জুন ২০২৩
সুরমা নিউজ ডেস্কঃ
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের স্টোরকিপার সুলেমান আহমেদসহ সাতজনের বিরুদ্ধে বিশেষ জেলা জজ আদালতে একটি মামলা হয়েছে। পৌর শহরের বাঁধনপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. সাজিদুর রহমান বৃহস্পতিবার (১ জুন) মামলাটি করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মো. মোহাম্মদ ছমিরুল ইসলাম, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সাবেক প্রধান সহকারী বিবেকানন্দ গোস্বামী, অবসরপ্রাপ্ত বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) হিমাংশু লাল রায়, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) মোহাম্মদ শরিফুল হাসান, সিনিয়র স্টাফ নার্স (ব্রাদার) মোস্তাফিজুর রহমান ও রফিকুল ইসলাম। আদালতে বাদীর পক্ষে মামলাটি করেন আইনজীবী শহীদুজ্জামান চৌধুরী, নিরঞ্জন তালুকদার ও সাজ্জাদুর রহমান।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সুলেমান আহমেদ সুনামগঞ্জ পৌর শহরের মল্লিকপুরের বাসিন্দা হলেও জেলার ছাতক উপজেলার ছৈলা আফজালালাবাদ ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের বাসিন্দা ঠিকানা ব্যবহার করে ২০০৪ সালে স্বাস্থ্য সহকারী পদে যোগদান করেন। প্রতারণার মাধ্যমে নাগরিকত্বের জাল সনদ ও ভোটার তালিকায় নাম-ঠিকানা উঠিয়ে অসদুপায় অবলম্বন করে চাকরি নেন। সুলেমান বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে ২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে স্টোরকিপার পদে যোগদান করেন। এর পর থেকে তাঁর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট পুরো হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণ করছে। হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমানসহ সব কর্মকর্তা-কর্মচারী এই সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি। ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাতারাতি বিপুল অর্থসম্পদের মালিক হয়ে যান সুলেমান।
বাদী অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, হাসপাতালের স্টোর থেকে ওষুধ চুরি, নিয়োগ–বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাৎ, অবৈধ ক্ষমতা প্রয়োগের সঙ্গে জড়িত সুলেমান।
সুনামগঞ্জে দুদকের কৌঁসুলি আইনুল ইসলাম বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন।
সুলেমান আহমেদ অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার নিয়োগ, বদলি—সব যথাযথ প্রক্রিয়ায় হয়েছে। একটি পক্ষ হাসপাতাল থেকে অবৈধভাবে সুযোগ-সুবিধা না নিতে পেরেই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারাই এই মামলা করিয়েছে।’