নিজের আগ্রহে কলকাতার আগে ঢাকায় আসছেন মার্টিনেজ
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৪১:৫১,অপরাহ্ন ২২ মে ২০২৩
স্পোর্টস ডেস্ক:
কাতার বিশ্বকাপে ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। তারপর থেকেই তাদের বাংলাদেশে আনার ব্যাপারে তোড়জোড় শুরু করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। কিন্তু নানা ঝামেলায় বাফুফের সেই উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। তবে পুরো দল না এলেও আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম ‘হিরো’ গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ আসছেন ঢাকায়।
বিশ্বকাপ চলাকালীন লিওনেল মেসির দলকে নিয়ে বাংলাদেশিদের উন্মাদনার খবর পৌঁছে গেছে সুদূর আর্জেন্টিনাতেও। এমনকি আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলাররাও বাংলাদেশের মানুষদের উন্মাদনায় আপ্লুত। বেশ কিছু ভিডিও বার্তায় স্বয়ং লিওনেল মেসি থেকে শুরু করে কোচ লিওনেল স্কালোনিও বাংলাদেশকে নিয়ে কথা বলেন। আর্জেন্টিনার রাজধানীতে বিশ্বকাপ শিরোপা উদযাপনে উড়েছে বাংলাদেশের পতাকাও। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে মেসি নায়ক হলে নিশ্চিতভাবেই পার্শ্বনায়ক গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ফাইনালের সেই অবিশ্বাস্য সেভ আর টাইব্রেকার এখনও চোখে ভাসে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের।
পুরো বিশ্বকাপেই আর্জেন্টিনার গোলপোস্টের নিচে চীনের প্রাচীর বানিয়ে রাখেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস, ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে টাইব্রেকারে অবিশ্বাস্য নৈপুণ্য তাকে বসায় নায়কের আসনে।
একই সঙ্গে এমিলিয়ানোর হাতে বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার ওঠে তারই স্বীকৃতি হয়ে। বাংলাদেশের আর্জেন্টিনা-ভক্তদের কাছেও তাই খ্যাপাটে এই গোলরক্ষক মেসির মতোই ‘হিরো’। ভক্ত-সমর্থকদের অনেকে তো মার্টিনেজকে মেসির জন্য ঈশ্বরের তরফ থেকে পাঠানো উপহার হিসেবেও মনে করেন।
সেই মার্টিনেজকেই এবার সামনে থেকে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশি ভক্তরা। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৩রা জুলাই ঢাকা আসবেন আর্জেন্টিনার এই বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক। আর সেটা নিজের আগ্রহেই!
মূলত কলকাতার ক্রীড়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত শুধু কলকাতায় আনার জন্যই যোগাযোগ করেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজের সঙ্গে। তার সঙ্গে আলাপচারিতার সময় বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক। এরই মধ্যে ভারতীয় এক সাংবাদিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের নাম উঠে আসে এমিলিয়ানো মার্টিনেজের কণ্ঠে। ওই সাক্ষাৎকারে মার্টিনেজকে প্রশ্ন করা হয়, ওয়েস্ট বেঙ্গল, কলকাতা, বাংলাদেশে তোমাদের বিপুল ভক্ত সমর্থক রয়েছে। এ নিয়ে কিছু বলবে? উত্তরে মার্টিনেজ বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে জানি, আমরা সেটা দেখেছি।’ ফেসবুকে নিজের প্রোফাইলে সেটা জানান শতদ্রু দত্ত। তিনি লিখেন, ‘বাংলাদেশের জন্য এমি মার্টিনেজের আলাদা একটা টান রয়েছে। যেহেতু সেখানে অসংখ্য আর্জেন্টাইন ভক্ত-সমর্থক রয়েছেন। সুতরাং আমি মার্টিনেজের জন্য একটা দিন ঢাকায় কাটানোর পরিকল্পনা করছি। বাংলাদেশ… তুমি প্রস্তুত তো?’ মার্টিনেজের ঢাকায় আসার ব্যাপারে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এই সময়’ এর সঙ্গে কথা বলেন শতদ্রু। তিনি বুলেন, ‘৩ তারিখ অর্থাৎ, ৩রা জুলাই মার্টিনেজ একদিনের জন্য ঢাকা সফরে যাবেন। একদিন থেকে পরের দিন কলকাতায় যাবেন মার্টিনেজ। এরপর সেখানে ৪ ও ৫ই জুলাই থেকে দেশে ফিরবেন তিনি।’
তবে ঢাকায় কোনো অনুষ্ঠান বা ক্লাবে আসবেন কিনা সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান শতদ্রু। তিনি বলেন, ‘সেটা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বাংলাদেশের কোনও ক্লাবে যাবে কি না তাও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সেটা খুব শীঘ্রই জানা যাবে।’ কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও ভারত ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে মার্টিনেজের। ইতিমধ্যে তাদের জন্য অটোগ্রাফ দেওয়া গ্লাভসও পাঠিয়েছেন মার্টিনেজ।