সাদিয়ার লাশ বুকে জড়িয়ে কাঁদছিলেন রায়হান, অতঃপর আটক
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:০৫:৪২,অপরাহ্ন ২০ মে ২০২৩
সুরমা নিউজ ডেস্কঃ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সাদিয়া আক্তার নামের এক এসএসসি পরিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ মে) ভোরে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের মাজালিয়া ভূঁইয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সন্দেহজনকভাবে তার স্বামী রায়হানকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, নিহত সাদিয়া আক্তার মাজালিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে।
তিনি চলমান এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। ২৭ এপ্রিল পৌরসভার কোনাবাড়ী এলাকায় আব্দুল্লার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার রায়হানের সঙ্গে বিয়ে হয় সাদিয়ার। এসএসসি পরীক্ষা চলমান থাকায় বিয়ের পর থেকেই বাবার বাড়িতে থাকতেন তিনি।
শুক্রবার (১৯ মে) বিকেলে স্বামী রায়হান ও তার বাড়ির আত্মীয়-স্বজন বেড়াতে আসেন সাদিয়াদের বাড়িতে।
আত্মীয়রা রাতেই চলে গেলেও স্বামী থেকে যান। হঠাৎ ভোররাতে রায়হানের চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন তাদের রুমে যায়। এ সময় সাদিয়ার ঝুলন্ত দেহ বুকে জড়িয়ে রায়হানকে কাঁদতে দেখে পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে রায়হানকে আটক করেছে পুলিশ।
সাদিয়ার বাবা সাইফুল ইসলাম বলেন, রাতে মেয়ে ও জামাইকে হাসিমুখেই ঘরে রেখে আমরা ঘুমাতে যাই। ভোরে মেয়ের জামাইয়ের চিৎকারে ঘুম থেকে সজাগ হই। দৌড়ে গিয়ে দেখি মেয়ের লাশ জামাই বুকে ধরে কান্নাকাটি করছে। জামাইকে জিজ্ঞেস করলে বলে সাদিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
সাদিয়া আত্মহত্যা করেননি, তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি তার বাবার।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, সাদিয়া আক্তার নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে তার স্বামী রায়হান মিয়াকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে।