মৌলভীবাজারে দুই শিক্ষার্থীর বিরোধে সড়ক অবরোধ: লন্ডনপ্রবাসী ছুরিকাহত
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:১১:০৫,অপরাহ্ন ০১ মে ২০২৩
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের বড়লেখার দাসেরবাজার আদর্শ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী একই কলেজের একাদশ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে। রোববার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার দাসেরবাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
এই ঘটনার জেরে ওইদিন দেড়টার দিকে মারধরের শিকার শিক্ষার্থীর স্বজন ও এলাকাবাসী বড়লেখা ও বিয়ানীবাজার উপজেলার সীমান্তবর্তী সোনাইনদী ব্রিজের ওপর অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এতে বড়লেখা-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের উভয়পাশে যানবাহন আটকা পড়ে।
জনদুর্ভোগের দৃশ্য বড়লেখার চান্দগ্রাম এর লন্ডনপ্রবাসী শরীফুল ইসলাম মুঠোফোনে ধারণ করায় বিয়ানীবাজার উপজেলার কিছু লোক তাকে মারধর করে ছুরিকাঘাত করে বলে অভিযোগ উঠে। এনিয়ে বড়লেখার চান্দগ্রাম ও বিয়ানীবাজারের বারইগ্রাম এলাকার লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে বিকেলে বড়লেখা উপজেলা প্রশাসন ও বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয়পক্ষকে বুঝিয়ে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বড়লেখার দাসেরবাজার আদর্শ কলেজে বড়লেখা উপজেলার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করে। ওই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী বড়লেখা উপজেলার আল আমিনের সঙ্গে একই কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী বিয়ানীবাজার উপজেলার ইরফান আহমদ তানিমের সঙ্গে পূর্ববিরোধ ছিল। এর জেরে রোববার দুপুরে দাসেরবাজার এলাকায় আল আমিন তানিমকে পেয়ে মারধর করে। বিষয়টি জানতে পেরে তানিমের স্বজনরা দাসেরবাজার এলাকায় এসে স্থানীয় লোকজনকে গালাগালি করেন। এনিয়ে তানিমের স্বজনদের সঙ্গে দাসেরবাজার এলাকার লোকজনের তর্কাতর্কি হয়। এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে তানিমের স্বজন ও এলাকার লোকজন বড়লেখা ও বিয়ানীবাজারের সোনাইনদী ব্রিজের ওপর অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন।
জনভোগান্তির এই দৃশ্য লন্ডনপ্রবাসী শরীফুল ইসলাম মুঠোফোনে ধারণ করায় বিয়ানীবাজারের বারইগ্রাম এলাকার কতিপয় লোকজন তাকে ছুরিকাঘাত করেন। এনিয়ে বড়লেখার চান্দগ্রাম ও বিয়ানীবাজারের বারইগ্রামের এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ, সহকারি কমিশনার (ভূমি) জাহাঙ্গীর হোসাইন, বড়লেখা থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান ও বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ, জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয়পক্ষকে শান্ত করে অবরোধ তুলে দেন।
বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে অবরোধ তুলে দিয়েছি। আগামী বুধবার উভয়পক্ষের লোকজন ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বিষয়টি সমাধান করা হবে।