ওসমানীনগর থেকে বাসে তুলে দেওয়ার কথা বলে শ্রীমঙ্গলে নিয়ে গণধর্ষণ, আটক ২
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৩৭:৫৮,অপরাহ্ন ১৬ এপ্রিল ২০২৩
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি ::
সিলেটের ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার থেকে কুলাউড়ায় নিজ বাড়িতে পৌছে দেওয়ার কথা বলে ২৩ বছরের এক নারীকে শ্রীমঙ্গলের একটি চা বাগানে এনে সিএনজি চালকসহ ৫ জন মিলে গণধর্ষণ করেছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে শ্রীমঙ্গল থানা সিএনজি চালকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষকরা হলো, সিএনজি চালক ওসমানীনগরের মতিরগাঁও গ্রামের মতলেব মিয়ার ছেলে সেলিম (৩৩) ও শ্রীমঙ্গল মাইজদিহি চা বাগানের রাম গবিন এর ছেলে হৃদয় নুনিয়া (২০)। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন দুই আসামি। পরে এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ভিকটিম বাদি হয়ে এজাহার দায়ের করে। ঘটনাটি ঘটে ১৪ এপ্রিল শুক্রবার রাতে।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) গ্রেপ্তারকৃত দুই ধর্ষককে মৌলভীবাজার বিজ্ঞ আদালতে তোলা হলে আসামি হৃদয় নুনিয়া ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
শ্রীমঙ্গল থানা সুত্রে জানা যায়, গত ১৪ এপ্রিল ইফতারের পর ২৩ বছরের এক নারী সিলেট জেলার ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার থেকে তার বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ফেরার জন্য গাড়ির অপেক্ষা করছিল। সিএনজি চালক সেলিম তাকে কুলাউড়ার বাসে তুলে দেওয়ার কথা বলে সিএনজিতে উঠায়। পরে সেলিম ওই নারীকে মৌলভীবাজারে নিয়ে কুলাউড়ার বাসে না উঠিয়ে দিয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে শ্রীমঙ্গল ভৈরববাজারে নিয়ে আসে। সেলিমের কথামতো ভৈরববাজারে আগে থেকে অপেক্ষায় থাকা তার আরো ৪ সহযোগী মিলে ওই নারীকে মাইজদিহি চা বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে সেলিমসহ ৫ পাষন্ড মিলে রাত ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ওই নারীকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে।
শ্রীমঙ্গল থানায় খবর পৌছালে অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সর্দারের নির্দেশে পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) এ,কে,এম ফজলুল হক এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে সিএনজি চালক সেলিমসহ অপর ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে।