মৌলভীবাজারের জুড়ীর রাস্তায় ব্যাপক ফাটল
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:০৫:৩৪,অপরাহ্ন ২৯ মার্চ ২০২৩
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের জুড়ীর জায়ফরনগর ইউপির হাকালুকি হাওর তীরবর্তী বেলাগাঁও এর রাস্তায় ব্যাপক ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাটলটি পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পাওয়ায় রাস্তাটি নদীতে বিলীণ হতে চলেছে। এতে এলাকার ৬/৭ হাজার অধিবাসীসহ কয়েক হাজার কৃষক দুশ্চিন্তায় ভোগছেন।
বিশেষ করে এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকির চলমান রবিশষ্য আনা নেয়া ও কিছুদিন পর বোরো ধান স্থানান্তর নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কৃষক-শ্রমিক।
জানা যায়, উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নে জুড়ী-কুলাউড়া সড়কের কন্টিনালা নদীর পশ্চিম দিকে গরেরগাঁও হয়ে বেলাগাঁও (পশ্চিম পার) গ্রামের রাস্তা চলে গেছে। রাস্তাটি গরেরগাঁও, কাটানালারপার, বেলাগাঁও, সোনাপুর ও রাবার ড্যাম হয়ে হাকালুকি হাওর পর্যন্ত চলে গেছে। এ সড়কে উক্ত এলাকার ৬/৭ হাজার বাসিন্দা প্রতিদিন চলাচল করেন। হাজারো শিক্ষার্থী বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় যাতায়াত করেন। এশিয়ার বৃহত্তম এ হাওরে উৎপন্ন মাছ, বোরো ধান, শীতকালীণ সবজি ও রবিশষ্য এ সড়ক দিয়ে পরিবহন করা হয়।
ইতিমধ্যে কন্টিনালা নদীর পশ্চিম তীরবর্তী এ সড়কের বিভিন্ন অংশে ছোট ছোট ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত ৩/৪ দিন থেকে উক্ত সড়কের গরেরগাঁও এলাকায় ফাটল দেখা দেয়। প্রতি নিয়ত ফাটল বৃদ্ধি পেতে থাকে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ফাটলটি ব্যাপক আকার ধারণ করায় জন ও যান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যে কোন সময় সড়কটি নদী গর্ভে বিলীণ হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। এই এলাকায় শতাধিক বাড়ীঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে হুমকির মুখে।
স্থানীয়রা জানান, জুড়ী নদীর শাখা কন্টিনালার পশ্চিম পার গরেরগাঁও হতে রাবার ড্যাম রাস্তার এক কিলোমিটার রাস্তা ২০১৫-১৬ সালে পাকা করা হয়। বাকী রাস্তা কাঁচা। এই রাস্তা দিয়ে গরেরগাঁও একাংশ, কাটানালারপার, বেলাগাঁও ও সোনাপুর গ্রামের লোকজন চলাচল করেন। প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন যোগে এ এলাকার বাসিন্দারা তাদের নিত্য পণ্য আনা-নেয়া করেন। সেই সাথে হাকালুকি হাওরের যাতায়াতের অন্যতম এই রাস্তা দিয়ে হাওরে উৎপাদিত মাছ, বোরো ধান, মিষ্টি কুমড়া, আলু, বাদাম, ভুট্রা সহ কৃষিপন্য পরিবহন করা হয়। ফাটলের সাথে রাস্তাটি নদীতে বিলীণ হতে যাওয়ায় রবি শস্য ও বোরো ধান পরিবহন নিয়ে লোকজন মহা সংকটে পড়েছেন।
স্থানীয়রা দ্রুত রাস্তাটির ভাঙ্গন ঠেকানোর উদ্যোগ নিতে প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানান।
মঙ্গলবার রাস্তাটি পরিদর্শন করেছেন জুড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রঞ্জন চন্দ্র দে ও উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী ননী গোপাল দাস।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলী ননী গোপাল দাস বলেন, আমি ও ইউএনও রাস্তাটি দেখে এসেছি। দ্রুত একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে নদী ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প প্রয়োজন। সে জন্য আমি এলাকাবাসীর সাথে পরামর্শ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাবো।