ওসমানীনগরে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধগতি: দিশেহারা সাধারণ মানুষ
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৩৭:৫৫,অপরাহ্ন ১৬ মার্চ ২০২৩
ওসমানীনগর প্রতিনিধি ::
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার বাজারগুলোতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। চালের দাম কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও বাজারগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীসহ শাক-সবজীর বাজারে যেন আগুন লেগেছে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রশাসনের বাজার তদারকি না থাকায় সাধারণ মানুষকে জিম্মী করে ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছামত মূল্যে পণ্য সামগ্রী বিক্রয় করছে। দেশের অন্যান্য উপজেলায় প্রশাসন কর্তৃক বাজার মনিটরিং এর ব্যবস্থা দেখা গেলেও ওসমানীনগর উপজেলায় এরকম কোন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। ব্যবসায়ীরা সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইচ্ছেমতো মূল্য আদায় করছে। এতে সাধারণ মানুষ রয়েছে চরম ভোগান্তিতে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী এই আকাশচুম্বী দাম নিয়ে বাজার গুলোতে ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে প্রতিদিন তর্কের ঘটনাও ঘটছে।
সরজমিনে উপজেলায় কয়েকটি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, রমজান মাসকে সামনে রেখেই ব্যবসায়ীরা বাজারে পেয়াঁজ, রসুন, আদা, মরিচ, আটা, ময়দা, চিনিসহ বেশ কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে বিক্রি করছেন।
প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা, রসুন ১২০ টাকা ,আদা ১৮০ টাকা, শুকনা মরিচ ৩৮০ টাকা, আটা ৬৫ টাকা, চিনি ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়াও অন্যান্য সকল প্রণ্যের দাম বেড়েই চলছে। তরি-তরকারীর মূল্যের পাশাপাশি মাছের দামও আকাশচুম্বী। যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতায় বাইরে। গরুর হাড্ডি মাংস ৭৫০ গরুর মাংস ৯৫০ খাসির মাংস ১১০০ টাকা যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতায় বাইরে। আলু প্রতি কেজি ২০, করোলা ৬০, ঢেঁড়স ৭০, ঝিঙ্গা ১২০, টমেটো ৩০, বেগুন ৪০, ধনিয়া পাতা ১৬০, মুলা ৫০ টাকাসহ সকল শাক-সবজির দাম মাত্রাতিরিক্ত ভাবে বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারেও বিরাজ করছে অস্বাভাবিক অবস্থা। মাছের বাজার থেকে অনেক ক্রেতারা খালি হাতে ফিরতে দেখা গেছে।
উপজেলার গোয়ালাবাজার, তাজপুর, কলারাই, দয়ামীর বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মাছ ও শাক-সবজী টাটকা রাখতে ব্যবহার করা হচ্ছে রাসায়নিক পদার্থ ফরমালিন। যা শরীরের জন্য হুমকী স্বরূপ। মিষ্টির কারখানাগুলোতে বিরাজ করছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।
প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের সদিচ্ছার অভাবে মুনাফালোভী অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে জনগণ জিম্মি হয়ে পড়লেও এ ব্যাপারে কোন ভূমিকাই রাখছেন না জনপ্রতিনিধিসহ রাজনৈতিক নেতৃবর্গ।