শ্রীমঙ্গলে নিলামে খৈয়াছড়া বাগানের চা সর্বোচ্চ দামে বিক্রি
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:১৮:২৪,অপরাহ্ন ১৬ মার্চ ২০২৩
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক চা নিলাম কেন্দ্রে-২০২৩ চলতি অর্থ বছরের ২৩তম এবং চা উৎপাদন মৌসুমের শেষ চা নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নিলামে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয় চট্টগ্রামের খৈয়াছড়া বাগানের চা জিবিওবি সাইজের পাতা, কেজি প্রতি ১ হাজার ১০ টাকা বিক্রি হয়েছে। এছাড়া দিলকুশা চা বাগানের চা প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৮০০ টাকা। শ্রীমঙ্গলের নাহার টি এস্টেট এর চা পাতা প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৬৯০ টাকা আর সর্বনিন্ম ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
বুধবার (১৫ মার্চ) চা নিলাম কেন্দ্রে অস্থায়ী অফিস জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামের হলরুমে সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এ নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।
অকশনে চা মৌসুমে বাগানের নতুন উৎপাদিত চা কর্ণফুলি চা বাগান, নাহার চা বাগান, খৈয়াছড়া, মরগান চা বাগান, মৈত্রী চা বাগান, হাফেজ চা বাগান, দিলকুশা চা বাগান, এম আর খান চা বাগানের চা বেশি দামে বিক্রি হয়।
মৌলভীবাজারের ৫টি ব্রোকার্স হাউজ ও চট্টগ্রামের ৪টি মিলিয়ে প্রায় ৩০ জন বায়ার নিলামে অংশগ্রহণ করেন। এতে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৮৫২ কেজির উপরে চা পাতা নিলামে ওঠে। যার বাজার মূল্য ৭ কোটি টাকার বেশি।
এর আগে গত ২২তম চা নিলামে ৬৮ হাজার ৬৮৩ দশমিক ৮০ কেজি চা পাতা নিলামে উঠলেও বিক্রি হয় ১৯ হাজার ৩৩২ দশমিক ২০ কেজি। যার মূল্য ২০ লাখ ৬২ হাজার ৪৩১ দশমিক ৩৫ টাকা। গড় বিক্রয় মূল্য ছিলো প্রতি কেজি ১০৬ দশমিক ৭৫ টাকা।
সোনার বাংলা টি ব্রোকার্সের চেয়ারম্যান শহীদ আহমদ জানান, ২৩ তম চা নিলামে চট্টগ্রামের ব্রোকাররা ও অংশগ্রহণ করে। সবমিলিয়ে প্রায় ৩ লাখের ওপরে অপারিং হয়েছে। এর মধ্যে নতুন উৎপাদিত দিলকুশা চা বাগানের চা ৮০০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে। নতুন চায়ের কোয়ালিটি এখন বাড়ছে। গড়ের সুরমা ও পূর্ণীমা চা বাগানের নতুন চা ১৬০ দরে বিক্রি হয়েছে। চায়ের কোয়ালিটি ভালো। কোয়ালিটি ধরে রাখতে পারলে চায়ের বাজার বৃদ্ধি পাবে।
চট্রগ্রামের প্রডিউস বোকার্সের পরিচালক জিকু দাস বলেন, আমাদের বোকার্সের মাধ্যমে খৈয়াছড়া বাগানের নতুন উৎপাদিত চা শেষ নিলামে সবোর্চ্চ দাম ১০১০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সর্বমোট বিক্রি করেছি ৫৪ কেজি। তিনি আরও বলেন, চায়ের কোয়ালিটি খুবই ভালো।
দেশে বর্তমানে ১৬৭টি চা বাগান এবং প্রায় ৮ হাজার জন ক্ষুদ্র চা চাষি রয়েছেন। যার মোট আয়তন ২ লাখ ৭৯ হাজার ৪৩৯ দশমিক ৬৩ একর, এর মধ্যে চা চাষাধীন জমি রয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৫১৫ দশমিক ৭৯ একর।
এদিকে চা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত বছর ২০২২ সালে দেশে ৯৪ মিলিয়ন কেজি (৯ কোটি ৪০ লাখ কেজি) চা উৎপাদিত হয়েছে। চলতি মৌসুমে ২০২৩ সালে দেশে ১০০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।