মৌলভীবাজারে সাবেক এমপির ওপর হামলার প্রতিবাদে বিএনপি’র বিক্ষোভ
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৫৬:৫১,অপরাহ্ন ১৪ মার্চ ২০২৩
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি গত ১১মার্চ বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত মানবন্ধন কর্মসূচীতে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি এম নাসের রহমানসহ দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেল তিনটার দিকে শহরের শাহমোস্তাফা ঈদগাহ প্রাঙ্গন থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীদের অংশ গ্রহণে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শাহমোস্তফা সড়কে যাওয়ার পথে পুলিশ বাধা দেয়। এরপর লেইক রোড হয়ে সৈয়দ মুজতবা আলী সড়ক দিয়ে চৌমুহনায় যাওয়ার পথে ওয়ের্ষ্টান প্লাজার সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি আটকে দেয়।
পুলিশের সাথে দলীয় নেতাকর্মীদের উত্তেজনা দেখা দিলে সেখানে দলীয় নেতাকর্মীরা সড়কে অবস্থান নেয়। এসময় রাস্তার দুপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ুন বিক্ষুব্দ নেতাকর্মীদের শান্ত হওয়ার আহবান জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
সেখানে উপস্থিত শত শত নেতাকর্মী উদ্দেশ্যে তিনি বলেন-বর্তমান ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের পেটুয়াবাহিনী আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর উপস্থিতিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অতর্কিতভাবে লাটিসোটা,দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র হাতে নিয়ে গত ১১ মার্চ দুপুরে শহীদ মিনারের সামনে আমাদের কেন্দ্রঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। শুধু তাই নয় সাবেক এমপি এম নাসের রহমানসহ দলের নেতাকর্মীদের ওপর নগ্ন হামলা করে গুরুতর আহত করে। পুলিশ প্রশাসন এসময় নিরব ছিল। তারা কাউকে আটকায় নাই। বরং বিএনপির নেতাকর্মীরা যাতে নিষ্পেষিত হয়-নির্যাতিত হয়,মার খায় এটা তারা প্রত্যক্ষ করে। এ ঘটনা মৌলভীবাজারবাসী স্বচক্ষে দেখেছেন।
তিনি আরও বলেন- দ্রব্যমূল্য কমানোসহ ১০ দফা দাবীতে মানববন্ধনের মতো একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পর্যন্ত তারা আজ করতে দিচ্ছে না। তারা রাস্তায় মানুষ নামলেই ভয় পায়। তিনি এই হামলার সাথে জড়িত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হুঁশিয়ার করে বলেন-এখনও সময় আছে মৌলভীবাজারের অতীতের রাজনৈতিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করবেন না। সন্ত্রাসের পথ বেছে নিবেন না। বিএনপির সেই সক্ষমতা আছে সন্ত্রাসীদের রাজপথে রুখে দিতে। ভবিষ্যতে সকল ধরনের হামলা রাজপথেই মোকাবেলা করা হবে। কিন্তু প্রয়াত অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান সন্ত্রাসের রাজনীতি পছন্দ করতেন না। তিনি এ শিক্ষা আমাদের দেননি। তিনি করতেন উন্নয়নের রাজনীতি যার কারণে তিনি নিজ জেলা মৌলভীবাজার তথা দেশবাসীর কাছে আজো চিরস্বরণীয় হয়ে আছেন।
জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ফয়সল আহমেদের পরিচালনায় বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি আশিক মোশাররফ, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ সভাপতি ও জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জ¦ল,সাধারণ সম্পাদক এম এ মোহিত,জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক জিএমএ মুক্তাদির রাজু, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সফিউর রহমান,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ,যুবদল নেতা আবুল কাশেম, স্বেচ্ছাসেবকদলের প্রথম যুগ্ম সম্পাদক পিপলু আব্দুল হাই, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাহান চৌধুরী, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমামুল হক রিপন, সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক এড. সৈয়দ জাবেদ আলী নাইম প্রমুখ।
উল্লেখ্য গত ১১ মার্চ দুপুরে মৌলভীবাজারের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে কেন্দ্রঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল রাটিসোটা হাতে নিয়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলায় জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান,জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান ও জেলা জাসাস এর সদস্য সচিব মো.জসিম উদ্দিনসহ কমপক্ষে ২৫-৩০ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন।