‘সূত্রহীন’ হত্যার জট খুলছে পিবিআই
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৫০:৫৮,অপরাহ্ন ০৮ মার্চ ২০২৩
সুরমা নিউজ ডেস্কঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের হরিশপুর গুচ্ছগ্রামে স্কুলছাত্র মো. আলহাদ হত্যা রহস্যের জট খুলতে শুরু করেছে। হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়া তিন আসামির মধ্যে একজন হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। পুরো ঘটনায় যুক্ত অন্য অপরাধীরা শিগগিরই ধরা পড়বেন বলে আশা করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। স্কুলছাত্র আলহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আতাউর আলীর ছেলে মোমিন আলী, মনিরুল ইসলামের ছেলে ইয়াসিন আলী ও মৃত হাসেম উদ্দীনের ছেলে শফিকুল ইসলাম।
নিহত আলহাদের পারিবার ও পুলিশ জানায়, গেল বছরের ৩০ ডিসেম্বর রাতে আলহাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের দুইদিন পর ১ জানুয়ারি সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খুন হওয়া শিক্ষার্থী হরিশপুর মহলদারপাড়া গ্রামের মো. বাবলুর ছেলে ও নরেন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিলো। এ ঘটনায় নিহত আলহাদের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেন।
জানা গেছে, প্রথমে মামলাটির তদন্তে ছিল জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি)। পরে হস্তান্তর করা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায়। কিন্তু হত্যা মামলাটি দেড় মাসেও থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ মিলে হত্যাকান্ডের কূল-কিনারা পায়নি। পরে মামলাটি যায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাতে।
তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পিবিআই এগিয়ে নেয় তদন্ত। এক সপ্তাহের কম সময়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। গ্রেপ্তার এক আসামি আলহাদ হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সূত্রহীন এ হত্যা মামলাটি তদন্ত এগিয়ে নিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এরই মধ্যে স্কুলছাত্র আলহাদ হত্যার কারণ সম্পর্কে যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য অবস্থানে এসে পৌঁছেছে সংস্থাটি। দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধের জের ধরেই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে তারা স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যার দিকে বাসায় ফেরার পথে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর আশ্রয়ণ প্রকল্পের সেপটিক ট্যাকিংর ভেতর ফেলে রেখে যায় আসামিরা। তদন্ত কর্মকর্তা বলছেন, পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে হত্যা করা হয় স্কুলছাত্র আলহাদকে।
মামলা তদন্তের অগ্রগতির ব্যাপারে জানতে চাইলে পিবিআই রাজশাহী কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আযাদ মানবজমিনকে বলেন, আমরা এই হত্যারহস্য উদঘাটনে আন্তরিকভাবে কাজ করছি। তদন্তে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারসহ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। দ্রুত ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে বলে আশা করছি। এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য ও ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তা এখনই বলা যাবে না।