জিনদের আপ্যায়নেই গেল দেড় লাখ টাকা!
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৪৯:১৩,অপরাহ্ন ০২ মার্চ ২০২৩
সুরমা নিউজ ডেস্কঃ
জিনের মাধ্যমে রাতারাতি ধন-সম্পদের মালিক করে দেওয়ার কথা বলা হয়। এরপর এক যুবকের দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় একটি চক্র। এ অভিযোগে ‘জিনের বাদশা’ ও তার চার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
বুধবার দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শেখ রিজাউল হক দিপু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, মঙ্গলবার রাতে তাদেরকে ফতুল্লা মডেল থানার হরিহরপাড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় প্রতারণার শিকার ফতুল্লা মডেল থানার হরিহর পাড়ার বাবুল হোসেনের ছেলে মো. জুয়েল বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নীলফামারী জেলার সদর থানার দোগাজির হোসেন আলীর ছেলে আমির হোসেন, একাব্বর আলীর ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন, ফতুল্লা মডেল থানার ধর্মগঞ্জের সুজনের বাড়ীর ভাড়াটিয়া মো. মহারাজ ওরফে মিরাজ এবং একই থানার কাশিপুর ভুইয়াপাড়ার বারেক মিয়ার ছেলে আব্দুল কাদের কিবরিয়া।
জানা যায়, বাদীর বাবা বাবুল হোসেন অভিযুক্ত আসামি মহারাজ ওরফে মিরাজের পূর্ব পরিচিত। তার মাধ্যমে বাদীর বাবার সঙ্গে পরিচয় হয় অভিযুক্ত আমির হোসেন ও দেলোয়ার হোসেনের। পরিচয়কালীন সময়ে আমির হোসেন ও দেলোয়ার হোসেন নিজেদেরকে জিনের বাদশার সহযোগী বলে পরিচয় দেন। পরিচয়ের সূত্র ধরে অভিযুক্তরা বলে জিনের মাধ্যমে রাতারাতি তাকে ধন-সম্পদের মালিক বানিয়ে দেবেন। এক্ষেত্রে জিনদের আপ্যায়ন করা বাবদ অর্থ দিতে হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে অভিযুক্তরা জিনদের আপ্যায়ন বাবদ দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।
সর্বশেষ মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে অভিযুক্তরা বাদীর বাসায় গিয়ে জানান যে, তাদেরকে ধন- সম্পদের মালিক করে দেওয়া হবে। বহু টাকা মূল্যমানের রড এবং সিমেন্ট জিনের মাধ্যমে তাদের বাসায় নিয়ে আসা হচ্ছে। এছাড়া বাদীর বাবাকে এলাকার বিভিন্ন বিল্ডিং দেখিয়ে বলা হয় এগুলো কিনে দেবেন। এক্ষেত্রে জিনদের জন্য আরো কিছু টাকা দিতে হবে। এতে সন্দেহ হওয়ায় তারা জরুরি সেবা-৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশকে অবগত করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই নজরুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত প্রতারক চক্রের সদস্যরা নিজদেরকে জিনের বাদশার লোক পরিচয় দেন। এরপর বাদী ও তার বাবার কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেব। জরুরি সেবা-৯৯৯ এ ফোন পেয়ে মঙ্গলবার রাত ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমির হোসেন, দেলোয়ার হোসেন ও তাদের দুই সহযোগী কাদের এবং মিরাজকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।