ছাতকে টিকটক ভিডিও করা নিয়ে দুই গ্রামে ৪ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে নিহত ১, আহত শতাধিক
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:০১:০৬,অপরাহ্ন ০২ মার্চ ২০২৩
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
টিকটক ভিডিও করা নিয়ে সুনামগঞ্জের ছাতকে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে এক যুবক নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত উপজেলার সুরমা ব্রিজের গোল চত্বর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভাসখালা ও কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত সাইফুল ইসলাম, মামুন, সজিবকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর সাইফুল ইসলাম মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। রাজ্জাক,জসিম,কুটিলাল, আফতাব উদ্দিনসহ আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত সাইফুল ইসলাম মুক্তিরগাঁও গ্রামের চমক আলীর পুত্র।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, এক যুবক-যুবতি টিকটক ভিডিও করার সময় তাদের বাধা দেয় ভাসখালা গ্রামের আহাদ মিয়ার পুত্র রাজ্জাক,আহমদ আলীর পুত্র মান্না সহ তাদের সহযোগিরা। এ সময় মুক্তিরগাঁও গ্রামের আব্দুস সোবহানের পুত্র মামুনের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।এক পর্যায়ে মামুনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ নিয়ে প্রথমে দু’ পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়েছে। পরে দুই গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
প্রায় ৪ ঘন্টা ব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
এ সময় সংঘর্ষকারীরা গোলচত্তর এলাকায় বেশ কয়েকটি দোকানে ভাংচুর করেছে। একটি পিকআপ ভ্যান ও একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে।
ছাতক থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেতে হয়েছে। দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ সহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করেছে। ঘটনাস্থলে বর্তমানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ছাতক সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রনজয় চন্দ্র মল্লিক সাইফুল ইসলামের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানান,ফাঁকাগুলি ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহারের পরিসংখ্যান এই মুহূর্তে সঠিক বলা যাচ্ছেনা। এ ঘটনায় ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।