সিলেটে সোনিয়া খুন: সজীব ফের ৩ দিনের রিমান্ডে
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:০২:৪৬,অপরাহ্ন ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সিলেটি অভিনেত্রী সোনিয়া আক্তার খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার সজীব ৩ দিনের রিমান্ডে। সে ঘটনা স্বীকার করেনি। বারবারই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি এড়িয়ে যায়। এ কারণে কোতোয়ালি থানা পুলিশ শনিবার তাকে আদালতে হাজির করে ফের রিমান্ড চায়। আদালত তাকে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এরপর থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে, কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানিয়েছেন, সজীবের কাছ থেকে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি জানান, খুনের ঘটনার সব রহস্য সজীবকে ঘিরে।
ঘটনার আগে সে বাসাতেই ছিল। এরপর পালিয়ে যায়। এ কারণে তাকে দ্বিতীয় দফা রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সিলেট নগরীর খুলিয়াপাড়ার নীলিমা-১৪ নম্বর বাসা থেকে ১২ই ফেব্রুয়ারি সিলেটি নাটকের অভিনেত্রী সোনিয়ার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। সোনিয়া সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার শীতলজুড়া গ্রামের বিল্লাল আহমদের মেয়ে ও দক্ষিণ সুরমার নুরজাহান মেমোরিয়াল মহিলা ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী। তিনি মা ও সৎ বাবার সঙ্গে ওই বাসার ৪র্থ তলায় থাকতেন। সোনিয়া সিলেটের আঞ্চলিক ভাষার নাটকে অভিনয় এবং মোবাইলভিত্তিক অ্যাপস টিকটক ও লাইকিতে ভিডিও করতেন। ঘটনার এক সপ্তাহ আগে থেকে সোনিয়াদের বাসায় রাতযাপন করেন তার মামাতো ভাই সজীব। সজীব হবিগঞ্জ জেলার আজমেরীগঞ্জ উপজেলার শরীফনগর গ্রামের মো. নুরুদ্দিনের ছেলে। ১২ই ফেব্রুয়ারি সকালে সোনিয়ার সৎ বাবা সেলিম মিয়ার অসুস্থতার কারণে তাকে নিয়ে পরিবারের অন্য সদস্যরা হাসপাতালে চলে যান। পরে দুপুর ১২টার বাসায় ফিরে সোনিয়ার শয়নকক্ষে গিয়ে তার গলাকাটা লাশ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। সোনিয়ার পরিবারের দাবি হত্যার সঙ্গে সজীব জড়িত। পুলিশের সন্দেহের তীরও সজীবের দিকে। ঘটনার পর থেকে সজীব গা ঢাকা দেয়ায় সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। সোনিয়ার ঘর থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণলঙ্কারও খোয়া গেছে বলে দাবি করেন পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার দিন সোনিয়াদের বাসার বাথরুম থেকে সজীবের রক্তমাখা প্যান্টও উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর পাশাপাশি র্যাবও তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে র্যাব প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে সজীবকে গ্রেপ্তার করে। র্যাব জানায়, প্রায়ই সোনিয়াদের বাসায় আসতেন সজীব। খুনের ঘটনার আগে তিনি তার গর্ভবতী স্ত্রীর চিকিৎসার কথা বলে ৭ দিন ধরে সোনিয়াদের বাসায় অবস্থান করেছিলেন। ঘটনার আগের দিন সোনিয়া চাকরির সন্ধানে সজীবকে নিয়ে বিয়ানীবাজার যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। সোনিয়ার মরদেহের গলার বাম পাশে গভীর এবং ডান হাতের কব্জির রগ কাটা পাওয়া যায়। পুলিশ এ সময় তল্লাশি করে সোনিয়ার খাটের তোষকের নিচ থেকে ধারালো রক্তমাখা একটি কাঁচি উদ্ধার করে।