একদিনের জামিনে বাবার জানাজায় যুবদল নেতা
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৩২:১৮,অপরাহ্ন ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আদালত থেকে একদিনের জামিন পেয়ে ময়মনসিংহের ভালুকায় উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রকিবুল হাসান খান রাসেল সোমবার বাদআসর তার বাবা আব্দুল আউয়াল খানের জানাজায় উপস্থিত হয়ে দাফন সম্পন্ন করেন।
যানবাহনে ভাংচুরের মামলায় শনিবার সন্ধ্যায় ভালুকা সরকারি কলেজের সামনে থেকে রাসেলকে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
জানা যায়, রাসেলের বাবার মৃত্যুতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করলে মানবিক কারণে আদালত তাকে একদিনের জামিন দেন। জেল থেকে একদিনের জামিন পেয়ে তিনি জানাজায় উপস্থিত হয়ে তার বাবার দাফন সম্পন্ন করেন।
জানাজায় রাসেলের আবেগঘন বক্তব্য উপস্থিতিদের অশ্রুসিক্ত করে। তিনি বলেন, এর আগেও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থেকে পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করেছিল। ৫১ দিন হাজত বাস করে সম্প্রতি জামিনে বের হয়েছি। গ্রেফতারের খবর শুনেই আমার বাবার মৃত্যু হয়েছে। আমার বাবা ধলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
আব্দুল আউয়ালের ছোট ছেলে আরিফ হাসান খান বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় ভালুকা থেকে তার বড় ভাই রকিকুল হাসান খান রাসেলকে পুলিশ আটক করে। রাসেলের আটকের বিষয়টি জানতে পেরে মা বাসায় কান্না-কাটি শুরু করেন। এর আগেও রকিবুল একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছিলেন; কিন্তু তাদের মা এতটা ভেঙে পড়েননি। তখনো রাসেল আটক হওয়ার বিষয়টি তাদের বাবাকে জানানো হয়নি। কিন্তু একপর্যায়ে পরের দিন রাসেলের বাবা আব্দুল আউয়াল খান জেনে ফেলেন। এরপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাৎক্ষণিক তাকে ময়মনসিংহের সিবিএমসিবি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক পরীক্ষার পর জানতে পারেন আব্দুল আউয়াল ব্রেইন স্ট্রোক করেছেন। এর আগেও তিনি একবার স্ট্রোক করেছিলেন। এরপর সন্ধ্যায় ওই হাসপাতালেই আব্দুল আউয়ালের মৃত্যু হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলের একাধিক নেতার সঙ্গে যুবদলের নেতা রকিবুল হাসান রাসেল পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। ৫১ দিন কারাগারে থাকার পর গত ২৭ জানুয়ারি জামিনে মুক্তি পান তিনি। এরপর গত শনিবার সন্ধ্যায় আবারো পুলিশ গায়েবি মামলায় তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানায়, শনিবার দিবাগত রাতে ভালুকা-পারুলদিয়া সড়কের পনাশাইল এলাকায় সড়ক অবরোধ করে যানবাহন ভাংচুর করছিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পুলিশকে বাধা দেন। তখন ঘটনাস্থল থেকে যুবদলের নেতা রকিবুল হাসান খান ও আতাহার আলীকে আটক করে পুলিশ।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফখর উদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চু বলেন, রাতে তাদের কোনো কর্মসূচি ছিল না। দিনের বেলা শান্তিপূর্ণভাবে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা। উপজেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজনকে আটক করে মিথ্যা ঘটনা সাজানো হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে পুলিশ উসকানিমূলক আচরণ করছে।