বালাগঞ্জে ফেসবুক লাইভ দেখে ১২ টায় আসলেন প্রধান শিক্ষিকা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:০৩ অপরাহ্ণ
জাগির হোসেন, বালাগঞ্জ:
সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের গৌরীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রিমি সেন হাজিরা বহি তে একদিন এসে তিন মাসের স্বাক্ষর করা, মাসে দু’দিন বিদ্যালয়ে আসেন সহ সময়মতো বিদ্যালয়ে না আসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এধরণের অভিযোগ নিয়ে গত ২-রা ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আনহার মিয়া নামক একটি এ্যাকাউন্ট থেকে ফেসবুক লাইভ করা হয়। এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গৌরীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রিমি সেন মাসে দুই দিন বিদ্যালয়ে আসেন। একদিন এসে সারা মাসের স্বাক্ষর করেন হাজিরা বহি তে। হাজিরা বহিতে স্বাক্ষর করার সময় ৯টা দেখালেও বাস্তবতা ভিন্ন। তিনি আসেন দুপুর ১২টায়। গত বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে প্রমাণ সহ গৌরীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্থানীয় একজন একটি লাইভ করেন। এতে সরগরম হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। শিক্ষার্থীদের অভিভাবক জানায়, কোভিড-১৯ কালীন সময় থেকে এ বছরের ২-রা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুই মাস বিদ্যালয়ে আসেন নি রিমি সেন। তবু হাজিরা বহি তে একদিনের হাজিরা বাকি নেই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে এসে স্থানীয়দের মুখোমুখি রিমি সেন “আপনার ধর্মর দোহাই দিয়া কইরাম কউকা, সারা করোনা থাকি ই-পর্যন্ত একমাস স্কুলো আইছইন” ই সময় প্যারা শিক্ষক আছিল নানি- বললেন প্রধান শিক্ষিকা। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নিজেদের নাম লিখতে পারে না। প্রধান শিক্ষিকা বলেন- এতে এলাকাবাসীর লজ্জা।
অভিযোগের ব্যাপারে গৌরীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রিমি সেন বলেন, সব অভিযোগ মিথ্যে। ওই এলাকার মানুষ খারাপ। আমাকে মানসিক টর্চার করতেছে তারা। প্রেগন্যান্সি অবস্থায় যেতে আসতে কষ্ট হয় আমার। আমাকে ও আমার দপ্তরীকে স্থানীয়রা বিভিন্ন ভাবে হুকমি প্রদান করছে।
অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রকিব ভূঁইয়া জানান, ইউএনও স্যার অবগত আছেন এবিষয়ে। আগামী কাল (রবিবার) আমি একশনে যাবো।